গোবিন্দ রায়: রাতারাতি প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি চলে যাওয়ায় সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছে স্কুলপড়ুয়ারা। ইতিমধ্যেই স্কুলগুলিতে এই দুর্দশার ছবিটা প্রকট হতে শুরু করেছে। শিক্ষক ছাড়া স্কুলগুলি চলবে কী করে? এই প্রশ্ন উঠছে সর্বস্তরে। এর মাঝে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সাময়িক পরিবর্তন চেয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে চাকরিহারা শিক্ষকদের সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পরই সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা হয়েছে। পর্ষদের আবেদন, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বা এই শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত অবৈধ বলে নিশ্চিতভাবে শনাক্ত না হওয়া চাকরিহারাদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক।
সোমবার, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে চাকরিহারাদের সমাবেশে প্রতিশ্রুতিমতো যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 'যোগ্য'দের পাশে থেকে চাকরি বাঁচানোর আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, ''যোগ্যদের নিয়ে আমরা সুপ্রিম কোর্টের কাছে ব্যাখ্যা চাইব। জানতে চাইব, যাঁরা এতদিন কাজ করছিলেন, তাঁরা এখন কী করবেন? স্কুলে যাবেন না? বাচ্চাদের পড়াবেন না?'' এরপরই 'যোগ্য'দের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, ''কোনও নোটিস না পাওয়া পর্যন্ত আপনারা স্কুলে যান। কেউ বারণ করবে না। স্বেচ্ছায় কাজ করুন। মনে রাখবেন, ২ মাস কষ্ট করলে ২০ বছর নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন।'' মুখ্যমন্ত্রী এও জানান, সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জানানো হবে যাতে ওই রায় সাময়িক বদল করে 'যোগ্য'দের ক্লাস নেওয়া, পরীক্ষার খাতা দেখার অনুমতি দেওয়া হোক।
মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ শীর্ষ আদালতে আবেদন জানায়। আবেদনে বলা হয়, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বা এই শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত অবৈধ বলে নিশ্চিতভাবে শনাক্ত না হওয়া চাকরিহারাদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক। তাতে অন্তত শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়া থেকে কিছুটা বাঁচানো যাবে। সুপ্রিম কোর্ট এই মামলা গ্রহণ করেছে কি না, জানা নেই।