সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে করোনার (Corona Virus) বাড়বাড়ন্ত। সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে ৩ জানুয়ারি থেকে রাজ্যে জারি হচ্ছে কড়া বিধিনিষেধ। এর মাঝেই রয়েছে চার পুরনিগমের নির্বাচন। করোনা আবহে তবে কি পিছিয়ে যাবে ভোট? রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন থেকে এই প্রশ্নের জবাব দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। কী বললেন তিনি?
২২ জানুয়ারি বিধাননগর, শিলিগুড়ি, আসানসোল এবং চন্দননগর পুরনিগমের নির্বাচন। এদিকে আপাতত ১৫ তারিখ পর্যন্ত রাজ্যে জারি থাকবে এই বিধিনিষেধ। ফলে ভোটপ্রক্রিয়া কিংবা প্রচারের উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। রাজ্যের মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, “ভোটের ব্যাপারটা দেখবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এ বিষয়ে তাঁরাই সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা এ প্রসঙ্গে কিছু বলতে পারব না।” ফলে চার পুরনিগমের নির্বাচন আপাতত স্থগিত বা বাতিল হচ্ছে না।
[আরও পড়ুন: COVID-19: সোমবার থেকে রাজ্যে বন্ধ সমস্ত স্কুল-কলেজ, লোকাল ট্রেন নিয়ে বড় ঘোষণা নবান্নের]
প্রসঙ্গত, হুড়মুড়িয়ে বাড়ছে রাজ্যের করোনা সংক্রমণ। বিপদ বাড়িয়েছে ওমিক্রন। রাজ্যের সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ১২ শতাংশে। এমন পরিস্থিতি সংক্রমণ রুখতে কড়া ব্যবস্থা নিল রাজ্য। নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যের সমস্ত স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। লন্ডন থেকে কোনও বিমান নামবে না কলকাতা বিমানবন্দরে।
বাড়ছে রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ (Night Curfew) সময়সীমা। ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে একমাস। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু হতে পারে। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও ৫০ শতাংশ কর্মীরা আসতে পারেন। লোকাল ট্রেনে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে যাতায়াত চলবে। তবে সন্ধে ৭টার পর লোকাল ট্রেন বন্ধ, মেট্রো চলবে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে।