‘দিল্লিতে দায়িত্ব পেলেও বাংলায় আমার লড়াই চলবে’, মাটি ছাড়তে নারাজ Dilip Ghosh

04:17 PM Sep 21, 2021 |
Advertisement

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ২৪ ঘণ্টা আগেই তাঁকে বিজেপির রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বদলে আনা হয়েছে তুলনায় অনভিজ্ঞ সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar)। দিলীপকে ‘সান্ত্বনা পুরস্কার’ হিসাবে দেওয়া হয়েছে কার্যত গুরুত্বহীন সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির পদ। কিন্তু তাতে দমে যেতে নারাজ বঙ্গ বিজেপির দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা। দল তাঁকে যে পদই দিক রাজ্য রাজনীতির মাটি যে তিনি ছাড়বেন না, তা একপ্রকার স্পষ্ট করে দিয়েছেন দিলীপবাবু (Dilip Ghosh)। জানিয়ে দিয়েছেন, দল যে পদই দিক, বাংলায় তাঁর লড়াই চলবেই।

Advertisement

মঙ্গলবার মেদিনীপুরের সাংসদ দাবি করেছেন, দিল্লি থেকে তাঁকে বলা হয়েছে এবার রাজ্য রাজনীতির পাশাপাশি দিল্লি এবং দেশের অন্যান্য প্রান্তেও তাঁকে কাজে লাগানো হবে। তবে, দিল্লি যে দায়িত্বই দিক রাজ্যে তাঁর লড়াই চলবেই। দিলীপের বক্তব্য,”দল যে রকম দায়িত্ব দেবে তেমনভাবে কাজ করব। নতুন সভাপতি যেভাবে আমাকে ব্যবহার করতে চাইবে, সাহায্য চাইবে, আমি সেভাবেই সাহায্য করব। দলের কর্মী হিসাবে কাজ করব। বাংলায় আমার যেমন কাজ চলছে, তেমন চলবেই।” দিলীপের এই মন্তব্যটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। সভাপতির পদ খোয়ালেও দলের সংগঠন এবং নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে তিনি যে পুরোপুরি হাত তুলে নেবেন না, এই বক্তব্যে সেটাই স্পষ্ট হচ্ছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

[আরও পড়ুন: অভিষেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের? জল্পনার মধ্যেই মুখ খুললেন BJP সাংসদ]

নিজে পদ খোয়ালেও সুকান্ত মজুমদারকে রাজ্য সভাপতির পদে খোলামনেই স্বাগত জানিয়েছেন মেদিনীপুরের সাংসদ। মঙ্গলবার মর্নিং ওয়াকে গিয়ে বিজেপির (BJP) সদ্য প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বলেন, “এতদিন রাজ্য রাজনীতির অধিকাংশ নেতা হত কলকাতা কেন্দ্রিক। যার ফলে শুধু কলকাতার উন্নয়ন হত, জেলার উন্নয়ন হত না। আমরা উত্তরবঙ্গ থেকে রাজ্য সভাপতি পেয়েছি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) দক্ষিণবঙ্গের। প্রথমবার এমন হচ্ছে যে, বিরোধী দলনেতা এবং প্রধান বিরোধী দলের রাজ্য সভাপতি দুজনই জেলার লোক। এর ফলে এবার জেলার উন্নয়ন হবে।”

[আরও পড়ুন: নবান্নে মমতা-অভিষেকের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে প্রশান্ত কিশোর, তুঙ্গে জল্পনা]

শুধু তাই নয়, রাজ্য দপ্তরে সুকান্ত মজুমদারের সংবর্ধনা সভায় দিলীপ ঘোষ তাঁকে পদ্মফুল, পেন ও মালা উপহার দেন। দিলীপবাবু বলেন,”শিক্ষক মানুষ তাই পেন দিলাম আপনাকে। নতুন পর্যায় শুরু করল বিজেপি। হিংসার বিরুদ্ধে পার্টিকে দাঁড় করানোর জন্য আমার যোগ্যতা-ক্ষমতা অনুযায়ী কর্মী সমর্থকদের নিয়ে লড়েছি। একজন যুবককে রাজ্য সভাপতি করা হয়েছে। আগামী দিনে রাজ্যে পার্টিকে ক্ষমতায় আনতে সুকান্তর নেতৃত্বে লড়াই করব। দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী রাজ্য সভাপতি সুকান্ত। সুকান্ত শিক্ষিত, বুদ্ধিমান, মার্জিত। রাজ্য সভাপতি হিসাবে তিনি সফল হবেন। ইতিহাসে নাম লিখবেন। পুরনো কর্মীরা পার্টির নতুন নেতাকে সামনে রেখে এগিয়ে যাবে।”

Advertisement
Next