নিরুফা খাতুন: বড়দিন, বর্ষবরণ, মকর সংক্রান্তির পর বসন্ত পঞ্চমীতেও দেখা নেই শীতের। মাঘেই কি রাজ্য থেকে বিদায় নিল শীত? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। তেমন আশার বাণী শোনাতে পারছে না হাওয়া অফিস। আগামী সপ্তাহখানেক উষ্ণতা আরও বাড়বে বলেই দাবি আবহাওয়াবিদদের।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা আপাতত স্বাভাবিকের উপরেই থাকবে। আগামী ২-৩ দিন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি করে বাড়বে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও বাড়বে। পরবর্তী দু-তিনদিনও পরিস্থিতি একইরকম থাকবে। সকালের দিকে সামান্য কুয়াশা হতে পারে। উপকূলের জেলাগুলিতেই সেই সম্ভাবনা বেশি। কলকাতায় দিনের বেলায় শীতের আমেজ টের পাওয়া যাবে না।
বৃহস্পতিবারের মধ্যে রীতিমতো উষ্ণতার ছোঁয়া মিলবে কলকাতায়। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির কাছাকাছি এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি চলে যাবে। সোমবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৯ ডিগ্রি। রবিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭.৫ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৪৫ থেকে ৯৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত হয়নি। তবে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে দার্জিলিং, কালিম্পংয়ের পার্বত্য এলাকা এবং সিকিমে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা।
[আরও পড়ুন: কেন্দ্র চাইলে এক মাসেই নেতাজি অন্তর্ধানের কিনারা, মত নেতাজি গবেষক চন্দ্রচূড় ঘোষের]
এদিকে, রাজস্থান ও সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। নতুন করে শুক্রবার আরও একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে। উত্তর-পশ্চিম ভারতে সক্রিয় ঝঞ্ঝা ক্রমশ পূর্বদিকে সরবে এবং আরব সাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢুকবে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এর সক্রিয়তা বজায় থাকবে উত্তর-পশ্চিম ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে। আগামী ২৪ ঘন্টায় পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা।
মঙ্গল থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি এবং শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে জম্মু ও কাশ্মীর, মুজাফফরাবাদ এবং হিমাচল প্রদেশে বৃষ্টি এবং তুষারপাতের সম্ভাবনা। বুধ ও বৃহস্পতিবার উত্তরাখণ্ডে তুষারপাত ও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। আগামী ২৪ ঘণ্টা ঘন কুয়াশার চাদরে মুখ ঢাকতে পারে হিমাচলপ্রদেশ, বিহার এবং ওড়িশা।