সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রেমলিনে ড্রোন হামলা নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা। রাশিয়ার দাবি, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে হত্যা করতেই বুধবার আক্রমণ শানিয়েছিল ইউক্রেন। পালটা, জেলেনস্কি সরকার স্পষ্ট জানিয়েছে এই ঘটনায় তাদের কোনও হাত নেই। তবে এই হামলায় পুতিনের নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। ক্রেমলিনে ড্রোন হামলার সময় কোথায় ছিলেন পুতিন? কীভাবে প্রাণরক্ষা? এসব একাধিক বিষয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা।
জানা গিয়েছে, ড্রোন হামলার সময় সরকারি বাসভবন ক্রেমলিনে ছিলেন না প্রেসিডেন্ট পুতিন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, সেসময় মস্কোর কাছে নভো ওগারইয়ভোর বাসভবনে ছিলেন প্রেসিডেন্ট। সংবাদ সংস্থা ‘RIA Novosti’-র প্রশ্নের উত্তরে পেসকভ জানান, হামলার পর বাসভবনটির বাঙ্কার থেকে কাজ করছেন পুতিন। শুধু তাই নয়, হামলার ফলে রুশ প্রেসিডেন্টের কর্মসূচীতে কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। সূচী মেনেই মস্কোর রেড স্ক্যোয়ারে ‘ভিক্টরি ডে’ প্যারেডে শামিল হবেন পুতিন। বলে রাখা ভাল, দ্বীতিয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে জয়ের উৎসব পালনে ৯ মে ‘ভিক্টরি ডে’ পালন করে রাশিয়া।
উল্লেখ্য, বুধবার আচমকাই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে একটি ভিডিও। সেখানে দেখা যায়, ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সরকারি বাসভবনে। ক্রেমলিন লক্ষ্য করে উড়ে আসছে ড্রোন, এমনটাও দেখা গিয়েছে ওই ভিডিওতে। তবে পুতিনের বাসভবনে আছড়ে পড়ার আগেই ধ্বংস হয়ে যায় ড্রোন দু’টি। বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণেই ড্রোন দুটি নষ্ট করা গিয়েছে বলে দাবি রাশিয়ার। হামলার পর থেকেই মস্কোর আকাশে ড্রোন উড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেন শহরের মেয়র সের্গেই সোব্যানিন।
[আরও পড়ুন: হিজাব আন্দোলনের খবর করে জেলবন্দি! রাষ্ট্রসংঘে পুরস্কৃত তিন মহিলা সাংবাদিক]
এদিকে, ‘সঠিক সময়ে প্রত্যাঘাত’ করা হবে বলেও ইউক্রেনকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে ক্রেমলিনের তরফে। এই ঘটনার পর রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের তীব্রতার মাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।