সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সদ্যই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী কলকাতা হাই কোর্টে বড়সড় স্বস্তি পেয়েছেন। এখনও পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া প্রতিটি এফআইআরের উপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে। এমনকী আদালতের অনুমতি ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে আর নতুন কোনও এফআইআর করা যাবে না বলেও জানিয়েছে আদালত। প্রতিটি নির্দেশই দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। বিরোধী দলনেতার গলাতেও একাধিকবার শোনা গিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের ওই বিচারপতির নাম। বিচারপতির রায় এবং শুভেন্দুর বক্তব্য কি তবে সম্পর্কযুক্ত, অনেকেই সেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। এই ইস্যুতে বিজেপি বিধায়ককে বিঁধলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
কুণাল ঘোষ বলেন, “আমাদের বিচারব্যবস্থার প্রতি পূর্ণ আস্থা ও সম্মান আছে। আমাকে নিজে বহু আদালতে যেতে হয়। আমি শ্রদ্ধা করি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা হয়৷ আমাদের কাছে সেই ধোঁয়াশা আছে। মানুষ বলে, আমি আদালতে যাব। আমরা বলি, হাই কোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে যাব৷ কিন্তু খুব বিস্ময়ের সঙ্গে দেখেছি, আমরা বলি আদালতে যাব। আর বিরোধী দলনেতা বলেন, রাজাশেখর মান্থার কাছে যাব। এরপর তাঁর অনুকূলে রায় আসছে বারবার। এই সংলাপ সাধারণভাবে নিচ্ছি না। শুভেন্দু অধিকারী আইএএস, আইপিএসদের হুমকি দিচ্ছেন। তাহলে রাজাশেখর মান্থা কেন নির্দেশ দিচ্ছেন না যে হুমকি দেওয়া যাবে না?”
[আরও পড়ুন: পুলওয়ামার বদলা! কাশ্মীরে জঙ্গির বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল বুলডোজার]
প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে মোট ২৬ টি এফআইআর রয়েছে বিভিন্ন থানায়। তার পরিপ্রেক্ষিতেই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেখানে বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেন, দলবদলের কারণে প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন। পরিকল্পনামাফিক একের পর এক মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। যার অধিকাংশই ভিত্তিহীন। সেই কারণে শুভেন্দু অধিকারী তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া সমস্ত মামলা খারিজের আবেদন করেন। অন্যথায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানান।
সেই মামলায় বিচারপতি রাজশেখর মান্থার পর্যবেক্ষণ, শুভেন্দু অধিকারী একটা সময়ে তৃণমূলে ছিলেন। বর্তমানে তিনি বিরোধী দলেনতা। মানুষের ভোটে নির্বাচিত। ফলে পুলিশ নিজে অথবা অন্য কারও নির্দেশে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ তুলে বিরোধী দলনেতার কাজ স্তব্ধ করার চেষ্টাও করতে পারে। সেই কারণেই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ২৬টি এফআইআরে অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট।