সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে ফেরার পথে প্রতিপক্ষের দুই নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ। আর তাতেই জল্পনা-কল্পনার জাল বিস্তারের শুরু। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল, এবার কি তৃণমূলের বিশ্বস্ত সৈনিক কুণাল ঘোষও বেসুরে গাইতে শুরু করবেন? কিন্তু সেই সব প্রশ্নের উত্তরে সপাটে ছক্কা হাঁকালেন শাসকদলের মুখপাত্র। এক ফেসবুক পোস্টে শুভেন্দু অধিকারী এবং বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে যাবতীয় জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে কুণাল (Kunal Ghosh) বললেন, “আপাতত ঘুমিয়ে পড়তে পারেন।”
আসলে গতকাল রাতের একটি ‘কাকতালীয়’ ঘটনা ঘিরে হঠাতই রাজ্য রাজনীতিতে নতুন জল্পনা শুরু হয়ে যায়। নির্বাচনী কর্মসূচি থেকে ফেরার পথে বারুইপুরের এক হোটেলে দুই বিজেপি (BJP) নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবং বাবুল সুপ্রিয়র (Babul Supriyo) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কুণাল ঘোষ। প্রায় ৪৫ মিনিট একসঙ্গে ওই হোটেলে ছিলেন তৃণমূল মুখপাত্র এবং বঙ্গ বিজেপির দুই শীর্ষনেতা। যা নিয়ে রাতেই জল্পনা শুরু হয়। যদিও রাতেই সেই জল্পনায় জল ঢালে দু’পক্ষই।
[আরও পড়ুন: দিনভর ইঁদুর দৌড়ের পরও হল না শেষরক্ষা, পুলিশের জালে বিজেপি নেতা রাকেশ সিং]
ফেসবুক পোস্টে কুণাল লেখেন,”মঙ্গলবার ক্যানিংয়ে তৃণমূলের পদযাত্রা এবং জনসভা করে ফিরছিলাম। বারুইপুরের কাছাকাছি পথের ধারের একটি রেস্তরাঁয় সহকর্মীদের নিয়ে দাঁড়াই। টি-ব্রেক। শুনলাম একটু আগেই ওখান থেকে গিয়েছেন বিশিষ্ট এক তৃণমূল নেতা। এর কিছুক্ষণ পর অন্য একটি জায়গায় সভা সেরে ফেরার পথে ওই রেস্তরাঁয় ঢোকেন বিজেপির দুই নেতা। পুরনো পরিচিত। আলাদা দলে থাকলেও এইসব ক্ষেত্রে সৌজন্য ছাড়া নিশ্চয়ই প্রকাশ্য ঝগড়া হতে পারে না। দেখা হয়েছে। সৌজন্যের কথা হয়েছে। এইটুকুই। এর মধ্যে কোনও পরিকল্পিত বৈঠকের গল্প বা রাজনৈতিক তাৎপর্য নেই। তাঁরা বিজেপি। আমি তৃণমূল।” তৃণমূল মুখপাত্রের সাফ কথা, “কারওর গোপন বৈঠক করার থাকলে সে নিশ্চয় দলীয় সভা থেকে ফেরার সময় সর্বসমক্ষে প্রকাশ্য রেস্তরাঁয় সেটা করবে না!! ফলে যাঁরা এ নিয়ে প্রবল চিন্তিত, তাঁরা আপাতত ঘুমিয়ে পড়তে পারেন।” কুণাল একা নন, তাঁর সঙ্গে যে দুই বিজেপি নেতা দেখা করলেন, তাঁরাও এই সাক্ষাৎকে নেহাতই কাকতালীয় এবং সৌজন্যমূলক বলে দাবি করেছেন।