সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমস্ত বিতর্কে ইতি? ‘চায়ে পে চর্চা’য় সুদীপ-কুণাল। কুণাল ঘোষকে ফোন করলেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সন্ধে সাতটায় উত্তর কলকাতার সাংসদ তাঁকে চায়ের নিমন্ত্রণ করেছেন বলেও জানালেন কুণাল। তিনি নিমন্ত্রণ রক্ষাও করবেন। তবে কি দুজনের ‘তিক্ততা’ শেষ? সরাসরি অবশ্য সেই প্রশ্নের জবাব তিনি দেননি।
উল্লেখ্য, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন কুণাল। আসন্ন লোকসভা ভোটে উত্তর কলকাতা থেকে যাতে সুদীপ তৃণমূলের প্রার্থী না হন, তার দাবিও জানিয়েছিলেন। যা নিয়ে তিক্ততা বেড়েছিল। কুণাল প্রকাশ্যে সরব হলেও ‘চুপ’ ছিলেন উত্তর কলকাতার সাংসদ। এবার নাকি ফোন করে ‘চায়ে পে চর্চা’য় ডাকলেন সুদীপ। এ প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, “সুদীপদা আমাকে ফোন করেছিলেন। আজ চা খেতে ডেকেছেন। আমি যাব।”
ইতিমধ্যেই তৃণমূলের মুখপাত্র এবং রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কুণাল। এর পর নিজেই জানিয়েছিলেন, মুখপাত্রের ইস্তফা গৃহীত হলেও অন্য পদের ইস্তফাপত্র এখনও মঞ্জুর হয়নি। এমতাবস্থায় সোমবার সকাল থেকেই একটা জল্পনা ছড়ায় যে তৃণমূলের তরফে কুণালকে নাকি শোকজ করা হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে বার বার তাঁকে সেই প্রশ্ন করছিলেন সাংবাদিকরা। কিন্তু ‘ফুরফুরে’ মেজাজে তাঁর দাবি, “হোয়াটসঅ্যাপে অনেক মেসেজ এসেছে। কিন্তু সেগুলো পড়তে পারিনি। পড়লে জানতে পারব। যারা দিয়েছেন তারা বলবেন। আমি কিছু বলতে পারব না।” ‘তৃণমূলের সৈনিক’ কুণালের আরও সংযোজন, “তাপসদার বাড়িতে ছিলাম। তার পর খিদে পেয়েছিল খাচ্ছিলাম। পরে গাড়িতে গান শুনছিলাম।” কী গান, প্রশ্নের জবাবে তাৎপর্যপূর্ণ উত্তর দেন কুণাল। বললেন, “প্রেমপত্র গানটা শুনছিলাম। এসব নিয়ে মাথা ঘামাই না।” রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, হাবেভাবে কুণাল বুঝিয়ে দিলেন, শোকজ নিয়ে যতই জল্পনা ছড়াক না কেন, তিনি খোশমেজাজেই রয়েছেন।
[আরও পড়ুন: ‘মোদিজি ক্ষমা করলেন না’, লোকসভায় টিকিট না পেয়ে অভিমানী সাধ্বী প্রজ্ঞা]
বরং তৃণমূলের ‘সৈনিক’ হিসেবেই তিনি ভালো রয়েছেন বলে জানালেন। বললেন, “আমি দলের একজন কর্মী। সমর্থক। এতো বড় তৃণমূলের পরিবার। ঐতিহাসিক ব্রিগেড করতে চলেছে। কর্মী হিসাবে ভালো আছি। গান শুনছি।” এদিন সকালেই ‘বিক্ষুব্ধ’ তাপস রায়কে বোঝাতে তাঁর বাড়ি গিয়েছিলেন কুণাল। দীর্ঘক্ষণ কথা হয়। তবু নিজের অবস্থান বদলাননি তাপস। দল ছেড়েছেন। ছেড়েছেন পদও। জল্পনা, বিজেপির টিকিটে লোকসভার ‘কাঙ্ক্ষিত’ আসনে লড়বেন তাপস। যদিও তাঁকে আপাতত বিশ্রামের পরামর্শ দিলেন কুণাল। বললেন, “চলে গেলে কষ্ট হবে। উনি সিনিয়র। বলব, একটু বিশ্রাম নিন, রিজার্ভ বেঞ্চে থাকুন। যদিও তাপসদা একটা বড় নাম। রাজনৈতিক নেতা। অনুরোধ করব কিছু না করতে।”