সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাম আমলে ‘চিরকুটে চাকরি’ ঘিরে তোলপাড় রাজ্য। সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তীর চাকরি নিয়ে কিছুটা হলেও বিপাকে বাম শিবির। এর মধ্যেই প্রকাশ্যে এল সুজন চক্রবর্তীর সাংসদ লেটার হেডে লেখা ‘সুপারিশপত্র’। যা পাঠানো হয়েছিল প্রয়াত সুভাষ চক্রবর্তীর আপ্ত সহায়ককে। সেই সুপারিশপত্র টুইট করে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। যদিও বিষয়টিকে আমল দিতে রাজি নন বাম নেতৃত্ব।
সোমবার রাতেই সুজন চক্রবর্তীর দু’টি সুপারিশপত্র ভাইরাল হয়। এর মধ্যে একটি লেখা হয়েছিল তৎকালীন মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তীকে। অপরটি লেখা হয় সুভাষ চক্রবর্তীর আপ্ত সহায়ককে। দু’ক্ষেত্রেই তাঁকে কমরেডদের জন্য় সুপারিশ করতে দেখা গিয়েছে। এদিন কুণাল ঘোষের টুইট করা ‘সুপারিশপত্র’টিতে লেখা হয়েছে , “কমরেড নিখিল/সিএ টু সুভাষ চক্রবর্তী, কথামতো পত্রবাহক কমরেডকে পাঠালাম। প্র্যাকটিক্যাল টেস্টে পাশ করেছে। করে দিতে হবে।” নিচে সুজন চক্রবর্তীর স্বাক্ষর। ২০০৭ সালে মে মাসের ৫ তারিখ লেখা হয়েছিল ‘সুপারিশপত্র’টি। এটি পোস্ট করে তৃণমূল মুখপাত্রের খোঁচা, “চাকরির সুপারিশ। ‘করে দিতে হবে।’ এটাই চিরকুট।”
[আরও পড়ুন: বাঘ মেরে পাচারের ছক? নদিয়ার সীমান্ত এলাকায় থেকে উদ্ধার বাঘের চামড়া, পলাতক দুষ্কৃতীরা]
শুধু এই সুপারিশপত্র নয়, ভাইরাল হয়েছে সুজন চক্রবর্তীর লেখা আরেকটি চিঠিও। সেখানে লেখা হয়েছে, “কমরেড সুভাষ চক্রবর্তী, আশা করি ভাল আছেন। পত্রবাহক পাঠালাম। ভাল ছেলে। মগরাহাটের পার্টি পরিবারের সদস্য। পুলকারের জন্য। ইন্টারভিউতে পাশ করেছে। যদি দেখে নেন ভাল হয়। খুব ভাল ছেলে।” এই চিঠিটিও একই দিনে পাঠান হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই দুই ‘সুপারিশপত্র’ ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।