shono
Advertisement

Breaking News

পদ ছাড়লেও দলের অবিচল ‘সৈনিক’, প্রাক-ব্রিগেড মিছিলের নেতৃত্বে কুণাল

ছেড়েছেন দলের মুখপাত্র এবং রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ। লোকসভার আগে অতীব গুরুত্বপূর্ণ দু'টি পদে জবাব দিয়ে সাফ জানিয়েছেন, তিনি 'মিসফিট'। মানিয়ে নিতে কষ্ট হচ্ছিল।
Posted: 01:50 PM Mar 02, 2024Updated: 02:51 PM Mar 02, 2024

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছেড়েছেন দলের মুখপাত্র এবং রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ। লোকসভার আগে অতীব গুরুত্বপূর্ণ দুটি পদে জবাব দিয়ে সাফ জানিয়েছেন, তিনি ‘মিসফিট’। মানিয়ে নিতে কষ্ট হচ্ছিল। তবে, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের একনিষ্ঠ ‘সৈনিক’। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ‘সেনাপতি’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দলের কাজ করে যাবেন। শনিবার সেই প্রতিজ্ঞা ফের মনে করিয়ে দিয়ে প্রাক-ব্রিগেড প্রচার মিছিলে হাঁটলেন কুণাল। এদিন তাঁরই নেতৃত্বে তিলোত্তমায় চলল ব্রিগেড সমাবেশের প্রচার।      

Advertisement

শনিবার নিজের এক্স হ্যান্ডলে কুণাল জানান, দুপুরে দলের কর্মসূচিতে তিনি থাকবেন। লেখেন, ‘পায়ে পায়ে উড়িয়ে ধুলো ১০ মার্চ ব্রিগেড চলো। আজ বেলা একটা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে আসন্ন ব্রিগেড সমাবেশের প্রচারে রাজাবাজার মোড় থেকে শ্রদ্ধানন্দ পার্ক পর্যন্ত তৃণমূল কর্মীদের মিছিল। থাকব।’ বলে রাখা ভালো, আগামী ১০ মার্চ ব্রিগেডে ‘জনগর্জন সভা’ করবে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবারের মিছিল তারই প্রচারের স্বার্থে আয়োজিত। সেখানেই আইনজীবী তথা কাউন্সিলর অয়ন চক্রবর্তী, মৃত্যুঞ্জয় পাল-সহ দলীয় সহকর্মীদের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে হাঁটলেন কুণাল। বুঝিয়ে দিলেন, পদ নয়, দলই সর্বোপরি।  

এদিন বন্দে মাতরম ও তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ধ্বনির মাঝে কুণাল বলেন, “ব্রিগেড সমাবেশের প্রচারেই আজকের এই মিছিল। রাজাবাজার মোড় থেকে শ্রদ্ধানন্দ পার্ক পর্যন্ত উত্তর কলকাতার এই অঞ্চলে তৃণমূল কর্মীরা হাঁটছেন।”     

[আরও পড়ুন: ৫৫ দিন কোথায় ছিলেন, কী করছিলেন? ভবানী ভবনে লাগাতার জেরায় ‘ফাঁস’ করলেন শাহজাহান]

উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার কার্যত বিস্ফোরণ ঘটান কুণাল ঘোষ। এক্স হ্যান্ডেল থেকে নিজের রাজনৈতিক পরিচয় মুছে ফেলেন। আপাতত সেখানে তাঁর পরিচয় শুধুই ‘সাংবাদিক’ এবং ‘সমাজকর্মী’। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, নিজের রাজনৈতিক পরিচয় মোছার আগে এক্স হ্যান্ডেলেই বিস্ফোরক একটি পোস্ট করেছিলেন কুণাল। লিখেছিলেন, “নেতা অযোগ্য গ্রুপবাজ স্বার্থপর। সারাবছর ছ্যাঁচড়ামি করবে আর ভোটের মুখে দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়), অভিষেক, এবং তৃণমূলের প্রতি কর্মীদের আবেগের উপর ভর করে জিতে যাবে, ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি করবে, সেটা বারবার হতে পারে না।” নিজের পোস্টে দলকে ট্যাগও করেন কুণাল। তবে কার উদ্দেশে এই পোস্ট? কাকে এত তীব্র আক্রমণ? শুরুতে তা স্পষ্ট না করলেও সন্ধ্যাবেলা উত্তর কলকাতার সাংসদ তথা তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।

তুমুল জল্পনার মাঝে আজ এক্স হ্যান্ডেলে কুণাল লিখেছেন, ‘‘সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং তাঁর হয়ে ভুবনেশ্বর অ্যাপোলো হাসপাতালের বিল মেটানোর নথি খতিয়ে দেখা হোক। তিনি যখন হেফাজতে ছিলেন, তখন তাঁকে বড় অঙ্কের টাকা দেওয়া হয়েছিল, না কি তাঁর হয়ে হাসপাতালে সেই টাকা জমা দেওয়া হয়েছিল, তা তদন্ত করে দেখতে হবে। যদি প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে কয়লা ‘দুর্নীতি’র সঙ্গে ওই টাকার যোগ থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে তদন্তের স্বার্থে সুদীপকে গ্রেপ্তার করা উচিত। যদি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এটি এড়িয়ে যায়, আমি আদালতের দ্বারস্থ হব।’’

[আরও পড়ুন: পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ও ঘূর্ণাবর্তের জোড়া ফলা, সপ্তাহান্তে বৃষ্টিতে ভাসবে বাংলা]

দেখুন ভিডিও:

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement