গোবিন্দ রায়: কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) চিঠি মামলায় জেলের সিসিটিভি ফুটেজ পাবে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আবেদনে সাড়া দিয়ে জানিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। সোমবার জেলের সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল সিবিআই। সেই আবেদনে সাড়া দিল আদালত (Calcutta High Court)।
এদিন কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, সিবিআইকে জেলের সিসিটিভি ফুটেজের কপি দিতে। তবে ফুটেজ কপি করার সময় ঘটনাস্থলে থাকবেন হাই কোর্টের টেকনিক্যাল টিমের সদস্য। তারপর সেটা ফের কলকাতা হাই কোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে জমা থাকবে। সিবিআই জানিয়েছে, ফুটেজ রয়েছে তিনটে হার্ড ডিস্ক এবং একটি ফ্লাশ ড্রাইভে। পুরোটা কপি করতে অন্তত তিনদিন সময় লাগবে। তাই পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে চারদিন সময় দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৩ জুন।
[আরও পড়ুন: তামিলনাড়ুতে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা, দু’টি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত ৪, আহত বহু]
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রয়োজনে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ নির্দেশে কথাও বলেন। তারই মাঝে গত মার্চ মাসে শহিদ মিনারে সভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই সভামঞ্চ থেকে তিনি দাবি করেন, মদন মিত্র, কুণাল ঘোষেদের দিয়ে একসময় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা জোর করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলানোর চেষ্টা করেন। তার ঠিক দিনদুয়েক পর আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের গলায় শোনা যায় একই সুর। তিনি দাবি করেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সি তাঁকে অভিষেকের নাম বলার জন্য চাপ দিচ্ছে। এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। আইনি পদক্ষেপ নেন। গত ১ এপ্রিল হেস্টিংস থানা এবং আলিপুর আদালতে কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে লিখিত আকারে জানান কুন্তল।
তারই জল গড়ায় কলকাতা হাই কোর্টেও। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কুন্তল ঘোষ এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরার কথা বলেছিলেন। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। এই মামলায় এজলাস বদল হয়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে মামলা যায় বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে। বেঞ্চ বদল হয়েও বিশেষ লাভ হয়নি। গত ৮ মে এই মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পার্টি করার নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। সেই মামলার তদন্তের জন্য় কুন্তল জেলে থাকাকালীন সিসিটিভি ফুটেজ চেয়েছিল সিবিআই। এবার সেই আরজি মঞ্জুর করল আদালত।