সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্রমিকদের অধিকার সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘন করেছে এয়ার ইন্ডিয়া। বিস্ফোরক অভিযোগ দিল্লির শ্রমিক কমিশনের। তাদের দাবি, বারবার অভিযোগ পেয়েও শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানের কোনও চেষ্টাই করেনি এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। বরং শ্রমিক কমিশনের আধিকারিকদের বিভ্রান্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, একসঙ্গে ৩০০ কর্মী ছুটি নেওয়ায় কার্যত অচল হয়ে গিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার পরিষেবা।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, গত সপ্তাহেই এয়ার ইন্ডিয়া (Air India) কর্তৃপক্ষকে তোপ দেগেছিল দিল্লির শ্রমিক কমিশন। উড়ান সংস্থাটিকে চিঠি দিয়ে কমিশন জানিয়েছিল, কর্মীদের অসন্তুষ্ট হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। কিন্তু কমিশনের আধিকারিকদের বিভ্রান্ত করেছে উড়ান সংস্থার মানবসম্পদ বিভাগ। শ্রমিকদের অধিকার আইন ব্যাপকভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। সমস্যা সমাধানের কোনও রকম চেষ্টা করা হয়নি বলেও এয়ার ইন্ডিয়াকে তোপ দাগা হয়েছিল ওই চিঠিতে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এয়ার ইন্ডিয়া।
[আরও পড়ুন: ‘নোংরা নয়াদিল্লিতে স্বাগত’, রাজধানীর আবর্জনার ভিডিও পোস্ট ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূতের]
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের (Air India Express) ৮৬টিরও বেশি আন্তর্জাতিক এবং অন্তর্দেশীয় উড়ান বাতিল হয়। কারণ একসঙ্গে অসুস্থতার কারণে আচমকাই ছুটি নিয়েছেন সংস্থার বহু কর্মী। ৩০০ জন সিনিয়র কেবিন ক্রু একেবারে শেষ মুহূর্তে জানান, তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সেই সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায় তাঁদের মোবাইল ফোনও। এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস ম্যানেজমেন্ট সেই কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চেষ্টা শুরু করেন।
কিন্তু কেন এমন পরিস্থিতি? টাটা গোষ্ঠীর সংস্থাটিতে নতুন যে চাকরির শর্ত দেওয়া হয়েছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এদিনের ‘গণ অসুস্থতা’র পিছনেও সেটাই কারণ। গত মাসেও এয়ার ইন্ডিয়া (Air India) এক্সপ্রেস কেবিন ক্রুদের একটি অংশের প্রতিনিধিত্বকারী এক ইউনিয়ন অভিযোগ করে, বিমান সংস্থাটিতে চূড়ান্ত অব্যবস্থাপনা রয়েছে। সেই ভিত্তিতেই এয়ার ইন্ডিয়াকে তোপ দেগে চিঠি দিয়েছিল শ্রমিক কমিশন। তার পরেই গণছুটির কবলে পড়ে কার্যত বিপর্যস্ত এয়ার ইন্ডিয়া।