shono
Advertisement

জীবন্ত প্রাণীকে করে দেয় পাথর, আজও রহস্যে ভরা তানজানিয়ার ‘খুনি হ্রদ’

কেন এমন হয়? The post জীবন্ত প্রাণীকে করে দেয় পাথর, আজও রহস্যে ভরা তানজানিয়ার ‘খুনি হ্রদ’ appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 07:59 PM Mar 31, 2019Updated: 08:11 PM Mar 31, 2019

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যেন সাক্ষাৎ যমপুরী। সরাসরি মৃত্যু নেই, কিন্তু মৃত্যুর চেয়েও ভয়ঙ্কর শাস্তি আছে। অনেকটা রূপকথার গল্পের মতো, সুন্দর অথচ ভয়ঙ্কর। তানজানিয়ার এই হ্রদটি এখনও রহস্যময়। গেলেই দেখা যাবে হ্রদের ধারে সারে সারে পড়ে রয়েছে পাথরের পশুপাখির মূর্তি। দেখে মনে হবে কোনও ভাস্করের নিখুঁত ভাস্কর্য। কোনও খামতি নেই, সযত্নে তৈরি করা হয়েছে বাদুড়, মাছরাঙা, রাজহাঁস, ঈগলের মতো অনেক নাম না জানা প্রাণীর মূর্তি। অবশ্য, মূর্তি বলা ভুল হবে, যেন জীবন্ত জীবাশ্ম, আবার মমিও বলা যায়।

Advertisement

[আরও পড়ুনঅভিনব দোকানি, ভিনদেশি সারমেয়কে নিয়ে মজেছে নেটদুনিয়া]

কথা হচ্ছে তানজানিয়ার নেট্রন হ্রদের। এই হ্রদে কোনও প্রাণী গেলে, তাকে বেঁচে ফিরতে হয় না। তার মানে এই নয়, যে সব প্রাণীর সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হচ্ছে। পাখিগুলি হ্রদের মধ্যে নেমে পড়লেই বিপদ। একে তো ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। এক মুহূর্ত ওই হ্রদে তিষ্ঠোনোর জো নেই। কোনওক্রমে তাপমাত্রার হাত থেকে বাঁচলে, সে বাঁচা হবে মৃত্যুর থেকেও ভয়ঙ্কর। ডাঙায় উঠেও রক্ষে নেই। ধীরে ধীরে পাথরের মতো হয়ে যাবে শরীর। পুরাণের অহল্যার মতোই, পড়ে থাকতে হবে প্রস্তর মূর্তি হয়ে।


কিন্তু ভয়ঙ্কর এই বিভীষিকার কারণ কী? মূলত জলের ক্ষারধর্মের জন্য হয় এই সমস্যা। অগভীর নেট্রন হ্রদটি দৈর্ঘে ৫৭ কিমি ও প্রস্থে ২২ কিমি। জলের গভীরতা মাত্র ১০ ফুট। প্রচুর সোডিয়াম ও কার্বোনেট যুক্ত ট্র্যাকাইট লাভা দিয়ে বহুকাল আগে তৈরি হয়েছে নেট্রন হ্রদের তলদেশ। যার ফলে, উত্তাপ সবসময় ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকে। বেশি তাপমাত্রার ফলে, হ্রদের জল দ্রুত বাষ্পীভূত হয়ে যায়। তাঁর পরিবর্তে পড়ে থাকে লাভা, যা জলের মতোই তরল। এদিকে, সোডিয়াম এবং কার্বনেটের ক্ষারধর্মের জন্য হ্রদে জন্ম নেই সায়ানোব্যাকটেরিয়া নামের অণুজীব। এদের শরীরে আবার লাল রঞ্জক থাকে। ফলে দূর থেকে লেকের জল মনে হয় লাল রঙের। লেকের এই লাল রংই আকৃষ্ট করে পাখিগুলিকে।

[আরও পড়ুন: উচ্চতার দৌড়ে পয়লা, বিশ্ব রেকর্ডের পথে অমৃতসরের এই পুলিশকর্মী]

 


সবচেয়ে বিপজ্জনক সমস্যা হল, এই হ্রদে পাখিগুলিকে নামতে হয় না। এর উপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময়ই হ্রদের জলে পড়ে যায় তারা। কীভাবে? জলের পরিবর্তে লাভা থাকায়, সূর্যের রশ্মি হ্রদ থেকে বেশি পরিমাণ প্রতিফলিত হয়। ফলে পাখিগুলি যখন উপর দিয়ে উড়ে যায় তখন তাদের চোখ ধাঁধিয়ে যায়। তীব্র আলোর ঝলকানিতে বিভ্রান্ত হয়ে হ্রদেই পড়ে যায় বাদুড় বা পাখিগুলি। পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই অনেক পাখির মৃত্যু হয়। কেউ যদি অতি কষ্টে ডাঙায় উঠেও পড়ে, তাঁর কষ্ট আরও বাড়ে। লেকের জলের সোডা আর নুন লেগে যায় পাখি বা প্রাণীটির শরীরে। যা শুকোনোর সঙ্গে সঙ্গে শরীরে কামড়ে ধরতে থাকে। আস্তে আস্তে পাথরে পরিণত হয় ওই লবন আর সোডা। একসময় পাখিগুলির শরীর পূর্ণাঙ্গ চুনাপাথরের মূর্তির রূপ নেয়।

The post জীবন্ত প্রাণীকে করে দেয় পাথর, আজও রহস্যে ভরা তানজানিয়ার ‘খুনি হ্রদ’ appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup অলিম্পিক`২৪ toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার