সুমন করাতি, হুগলি: প্রায় ৩ কোটি টাকার সাইবার প্রতারণা! পুলিশের জালে এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত এক যুবক। গরিব পরিবার থেকে উত্থান অভিযুক্তের। ধৃতের নাম রাহুল গুপ্ত। বিলাসবহুল জীবনযাপনের আকাঙ্ক্ষাই তাঁকে এই অপরাধের দিকে ঠেলে দিয়েছে। এমনটাই মনে করছেন রাহুলের এলাকার লোকজন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে লালবাজার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, সোমবার কানাইপুর ফাঁড়ির পুলিশের সাহায্যে হুগলি জেলার কোন্নগরের কানাইপুর কলোনির শহীদ বেদী এলাকা থেকে রাহুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, রাহুলের বাবা কলকাতার বড় বাজারে কাপড়ের দোকানে কাজ করেন। পরিবারে অর্থাভাব থাকলেও রাহুলের ছোট থেকেই ছিল উচ্চাকাঙ্ক্ষা। আর তা মেটাতেই রাহুল এই প্রতারণার সাথে যুক্ত হয়েছে বলেই মনে করছেন এলাকার বাসিন্দারা।
[আরও পড়ুন: IS জঙ্গিদের জেরায় হদিশ, কলকাতা পুলিশের অভিযানে মধ্যপ্রদেশে গ্রেপ্তার মডিউলের মাথা]
তবে ছেলের এই কাজের বিষয়ে কিছুই আগে থেকে বুঝতে পারেনি বলেই দাবি রাহুলের মায়ের। তিনি জানান, "ছেলে কলকাতার একটি কোম্পানিতে চাকরি করেই বলে জানতাম। কিছুদিন আগে নবগ্রাম এলাকায় একটা ফ্ল্যাটও কিনেছে লোন নিয়ে। কিন্তু এত বড় প্রতারণার সাথে কিভাবে জড়িয়ে পড়ল কিছুই বুঝতে পারছি না।" তবে ছেলে একা নয় এর সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত থাকতে পারে বলে অনুমান তাঁর। কিন্তু পরিবারের এই আর্থিক অবস্থার মধ্যে ছেলের এই বিলাসিতা কি একটুও সন্দেহজনক বলে মনে হয়নি? এই প্রশ্নের উত্তরে রাহুলের মা বলেন, 'ছেলের অনেক শখ ছিল ঠিকই কিন্তু আমরা ভেবেছি ও কলকাতায় ভালো কোম্পানিতে চাকরি করে। তাই সেই টাকায় এসব করছে।"
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রায় তিন কোটি টাকার সাইবার প্রতারণার তদন্তে নেমে রাহুল গুপ্তর কথা জানতে পারে লালবাজার পুলিশ। এই ৩ কোটি টাকা প্রতারণার ঘটনায় রাহুলের ভাগ ছিল ৮০ লক্ষ টাকা। এছাড়াও রাহুলের বেনামী কোম্পানি-সহ বহু ব্যাঙ্ক একাউন্টের হদিস পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনায়, রাহুলের প্রতিবেশি তথা এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য দীপক রঞ্জন সরকার বলেন,রাহুলকে ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি।ওর বাবা কাপড়ের দোকানে কাজ করলেও ছেলেটির খুব উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল।তবে ইদানিং প্রায় দেখতাম নতুন ফ্রিজ,নতুন এসি,নতুন গাড়ি কিনছে।সেটা অবশ্য সন্দেহ লাগলেও কেউ কখনও রাহুলকে কিছু জিজ্ঞেস করেনি।তবে গতকাল এত পুলিশ এসে ওকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর জানতে পারলাম রাহুল এই এত বড় সাইবার প্রতারণার সাথে যুক্ত।
[আরও পড়ুন: বাসে হারিয়েছে যাত্রীর খিচুড়ির টিফিন বক্স, ধনেপাতার আঁটি! খুঁজে দিতে হিমশিম পরিবহণ কর্তারা]
এই ঘটনায় রাহুল গুপ্তার প্রতিবেশী তথা এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য দীপক রঞ্জন সরকার বলেন, "রাহুলকে ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি। ওর বাবা কাপড়ের দোকানে কাজ করলেও ছেলেটির খুব উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল। তবে ইদানিং প্রায় দেখতাম নতুন ফ্রিজ, এসি, গাড়ি কিনছে। সেটা অবশ্য সন্দেহ লাগলেও কেউ কখনও রাহুলকে কিছু জিজ্ঞেস করেনি। তবে গতকাল এত পুলিশ এসে ওকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর জানতে পারলাম রাহুল এই এত বড় সাইবার প্রতারণার সাথে যুক্ত।"