অর্ণব আইচ: কোকেন কাণ্ডে এবার নিউ আলিপুর থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। পামেলার গাড়ি নিউ আলিপুর পৌঁছনোর প্রায় সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে পুলিশ খবর পেল, তাঁদের গাড়ি ঘিরে ফেলল, গোয়েন্দারা তা জানার চেষ্টা করছেন। প্রয়োজনে নিউ আলিপুর থানায় (New Alipore Police Station) কর্মরত কয়েকজন পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন লালবাজারের আধিকারিকরা। এদিকে, দুই থেকে চার কোটি টাকার প্যাকেজে ভোটের টিকিট থেকে প্রচারের ভুয়ো টোপ দিয়েই রাকেশ সিংয়ের সঙ্গী অমৃতরাজ সিং পামেলা গোস্বামীদের গাড়িতে ওঠে বলে খবর।
আদালত চত্বরে রাকেশ সিং (Rakesh Singh) ছাড়াও পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছিলেন কোকেন কাণ্ডে ধৃত বিজেপি যুবনেত্রী পামেলা গোস্বামী। সিসিটিভি দেখে গোয়েন্দারা জেনেছেন, পামেলাদের গাড়ি নিউ আলিপুরে পৌঁছনোর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই প্রায় কুড়িটি পুলিশের গাড়ি এলাকা ঘিরে ফেলে। পামেলা, প্রবীররা গাড়ি থেকে নামার পরই গাড়ির ভিতর থেকে দু’টি প্যাকেটে উদ্ধার হয় ৭৬ গ্রাম কোকেন। কীভাবে এত তাড়াতাড়ি নিউ আলিপুর থানার পুলিশ খবর পেল, পুলিশের কাছে আগাম খবর ছিল কি না, তা থানার পুলিশকর্মী ও আধিকারিকদের কাছে জানতে পারেন গোয়েন্দারা। এদিকে, পামেলার সঙ্গী প্রবীর দে ও এক ব্যবসায়ীকে রাকেশের সঙ্গী অমৃতরাজ টোপ দিয়েছিল, দুই থেকে চার কোটি টাকা খরচ করলেই বিধানসভার টিকিট থেকে প্রচারের ব্যবস্থা পর্যন্ত করে দেবে। অভিযোগ, রাকেশই অমৃতকে দিয়ে ফাঁদ পাতেন। এরপর পামেলাদের (Pamela Goswami) এক নেতার কাছে নিয়ে যাওয়ার নাম করে গাড়ির ভিতর কোকেন রেখে দেয়, অভিযোগ এমনই।
[আরও পড়ুন: মোদির ব্রিগেডে থাকবেন সৌরভ-মিঠুন-প্রসেনজিৎ? শমীক ভট্টাচার্যের মন্তব্যে জল্পনা]
গোয়েন্দারা খবর নিয়ে দেখেছেন, অমৃত গত নভেম্বর থেকে কলকাতায় রয়েছে। সম্প্রতি সল্টলেকে বাড়ি ভাড়া নেয় বিহারের পাটনার বাসিন্দা ওই যুবক। এর আগেও অন্য জায়গায় ভাড়া ছিল সে। বাড়িওয়ালাদের কাছে নিজেকে কখনও কল সেন্টার, আবার কখনও সেক্টর ফাইভে একটি নামী সংস্থার কর্মী বলে পরিচয় দিত। জানা গিয়েছে, তার সঙ্গে যে রাকেশ সিংয়ের যোগাযোগ রয়েছে, তার প্রমাণ মিলেছে। যেহেতু রাকেশ সিংয়ের বাড়িতে ঢুকতে গিয়ে পুলিশ বাধা পায়, তাই তার বাড়ির সিসিটিভির ফুটেজ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটর সামনে সেই ফুটেজ খুলে তা ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। আগেও রাকেশ সিং প্রবীরকে খুনের হুমকি দিয়েছিল, তার প্রমাণ মিলেছে, বলছে পুলিশ।