নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বগটুই কাণ্ডে (Rampurhat Bogtui Incident) চাঞ্চল্যকর মোড়। ২১ মার্চ রাতে পেট্রল দিয়ে পরিকল্পনামাফিক আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল গ্রামে, কার্যত সেই তত্ত্বেই সায় দিল ধৃত টোটোচালক। ধৃতের দাবি, বগটুই কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের ভাগ্নেই তাকে পেট্রল এনে দিতে বলেছিল ঘটনার রাতে।
বগটুই কাণ্ডের পর প্রায় একমাস পেরিয়েছে। এখনও ঘটনার শিকড়ে পৌঁছতে পারেনি তদন্তকারীরা। তবে ধৃতদের জেরা করে একাধিক তথ্য পেয়েছেন। যার উপর ভিত্তি করে রহস্যভেদের চেষ্টায় সিবিআই। এদিকে মূল অভিযুক্ত লালন শেখ এখনও বেপাত্তা। তার খোঁজ চলছে। এই পরিস্থিতিতে বিস্ফোরক তথ্য দিল বগটুই কাণ্ডে ধৃত টোটোচালক রিটন শেখ। রিটনের দাবি, ২১ মার্চ রাতে লালন শেখের ভাগ্নে ডলার তাকে পেট্রল আনতে বলেছিল। নির্দেশ মতোই রামপুরহাটের একটি পাম্প থেকে পেট্রল এনে দেয় সে।
[আরও পড়ুন: রেললাইনে পড়ে স্বামীর দেহ, বাড়ি থেকে উদ্ধার মৃত স্ত্রী, চাকদহে দম্পতির মৃত্যু ঘিরে রহস্য]
পরিকল্পনামাফিক গ্রামে অগ্নিসংযোগের আশঙ্কা ছিল ঠিকই, তবে শর্টসার্কিটের ফলে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে, এমনটাও দাবি করেছিলেন অনেকে। তবে রিটন শেখের এদিনের বক্তব্যে স্পষ্ট, অগ্নিকাণ্ডের ছক কষেই পেট্রল আনা হয়েছিল ঘটনার দিন রাতে। যদিও পেট্রল আনার পর ঠিক কী ঘটেছিল তা জানায়নি রিটন। ধৃতের বক্তব্য আদৌ সত্য কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, লালন শেখের নির্দেশ মেনেই রিটনকে দিয়ে পেট্রল আনানোর ব্যবস্থা করেছিল ডলার। ঘটনার পর থেকে নিঁখোজ ডলারও। এদিকে রিটনকে ১৩ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ সন্ধেয় বড়শাল গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ (Bhadu Sheikh) খুন হন। এরপর রাতে বগটুইতে একের পর এক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজেও খোদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। নিহতদের পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন। তবে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে বর্তমানে বগটুই এবং ভাদু শেখ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই।