সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে রান্নার গ্যাস। প্রায় সব পরিষেবাতেই আধার কার্ড বাধ্যতামূলক। ফলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই কার্ডটিকে যত্ন করে রাখাই স্বাভাবিক। তবে অত্যন্ত সাবধান হতে গিয়ে আধার কার্ডটি ল্যামিনেট করিয়ে ফেলেছেন কি? এর ফল কিন্তু হতে পারে গুরুতর।
[কারও উপর নজর রাখতে হলে ‘আধার’ নয়, ‘ফেসবুক’ বেশি উপযোগী: ফ্রেডম্যান]
আধার কর্তৃপক্ষ ইউআইডিএআই জানিয়েছে, ল্যামিনেট করা ও প্লাস্টিক বা পিভিসি আধার স্মার্ট কার্ড ব্যবহারযোগ্য হিসেবে গণ্য হবে না। কারণ, এধরনের কার্ডে অনেক ক্ষেত্রে কিউআর কোড বা কুইক রেসপন্স কোড কার্যকর থাকে না। ফলে প্লাস্টিক আধার কার্ড বানানো অর্থের অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়। তারা আরও জানায়, ডাউনলোড করে সাধারণ কাগজে ছাপা আধার কার্ড বা এম-আধার সম্পূর্ণ বৈধ। এছাড়াও প্লাস্টিক কার্ড বানানোর সময় গোপনীয় তথ্য চুরি হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে বলে জানায় ইউআইডিএআই। মানুষের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে প্লাস্টিক আধার বানানোর ব্যবসা ফেঁদে বসেছে কিছু অসাধু চক্র। তাদের ফাঁদে পা দিলে বিপদে পারেন সাধারণ মানুষ।
ইউআইডিএআই-এর সিইও অজয়ভূষণ জানান, প্লাস্টিক আধার বলে কিছু হয় না। ল্যামিনেট বা প্লাস্টিক কার্ড বানানোর জন্য অযথা কাউকে তথ্য দেওয়া উচিত নয়। এর মাধ্যমে বহুক্ষেত্রে গোপন তথ্য ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনাও থাকতে পারে। উল্লেখ্য, আধার সংশোধনীতেও ১৮ শতাংশ জিএসটি ধার্য করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ফলে আধারের কোনও তথ্য ভুল এলে, তা সংশোধন করার ক্ষেত্রে এবার বেশি টাকা নেওয়া হতে পারে। তবে নির্দিষ্ট কিছু পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রেই ধার্য হচ্ছে এই পণ্য-পরিষেবা কর। এতদিন ডেমোগ্রাফিক বা বায়োমেট্রিক সংশোধনীর ক্ষেত্রে ২৫ টাকা করে নিত ইউআইডিএআই কর্তৃপক্ষ। তার উপর ধার্য হতে চলেছে জিএসটি। ফলে এর সঙ্গে যুক্ত হবে প্রায় সাড়ে চার টাকা। এর ফলে সংশোধনীতে এবার একটু বেশিই খরচ করতে হবে।
[প্রয়োজন নেই ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেটের, আধারেই মিলবে তৎকাল পাসপোর্ট]
The post আধার কার্ড ল্যামিনেট করিয়েছেন? বিপদে পড়তে পারেন কিন্তু! appeared first on Sangbad Pratidin.