সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রেলমন্ত্রী থাকাকালীন চাকরির বিনিময়ে জমি হাতানোর অভিযোগ উঠেছিল লালুপ্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় এবার লালুপুত্র তেজপ্রতাপের বিরুদ্ধে সমন জারি করল আদালত। আগামী ৭ অক্টোবর দিল্লি রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তেজপ্রতাপকে।
গত বুধবার এই মামলায় আদালতে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করে ইডি। যার ভিত্তিতে লালুপ্রসাদ যাদব, তেজস্বী যাদব, তেজপ্রতাপ-সহ মোট ৮ জনকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ৭ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। সেদিনই হাজির থাকতে বলা হয়েছে অভিযুক্তদের। প্রথমবার তেজপ্রতাপকে এই মামলয়ায় তলব প্রসঙ্গে আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, এই দুর্নীতিতে তেজ প্রতাপ যাদবের জড়িত থাকার বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যায় না, তিনি এ কে ইনফোসিস লিমিটেডের পরিচালকও ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত রেলমন্ত্রী ছিলেন লালুপ্রসাদ যাদব। অভিযোগ, এই সময় জমি ও টাকার বিনিময়ে বিহারের বহু যুবককে রেলের গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ করা হয়। লালু ও তেজস্বীর পাশাপাশি এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে লালুর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ী দেবী এবং তাঁদের দুই কন্যা মিসা এবং হেমার বিরুদ্ধে। একের পর এক অভিযোগের জেরে গোটা ঘটনার তদন্তে নামে ইডি। তদন্তকারীদের তরফে দাবি করা হয়, চাকরির বিনিময়ে বহু যুবকের থেকে জমি নেওয়া হয়েছিল। সেই জমি তাঁরা লালুর পরিবারের সদস্য এবং ‘একে ইনফোসিস্টেমস’ সংস্থার নামে করেছিলেন।
ইডির পাশাপাশি কয়েক বছর আগেই এই ঘটনার তদন্তে নামে সিবিআই ২০২৩ সালের জুলাই মাসে সিবিআই আগেই চার্জশিট দিয়েছিল লালু, রাবড়ী এবং তেজস্বীর বিরুদ্ধে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট প্রমাণ হিসাবে উপস্থাপিত ৯৬টি নথির ভিত্তিতে ৬ আগস্ট ১১ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করে। এবার এই মামলায় প্রকাশ্যে এল লালুর আর এক পুত্র তেজপ্রতাপের যোগ।