সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir) উরিতে (Uri) বড়সড় নাশকতার ছক পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের। রবিবার এবং সোমবার রাতে সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করেছে একাধিক জঙ্গি। লক্ষ্য উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদী হামলা। আর সেই হামলা রুখতে তৎপর ভারতীয় সেনা।
ইতিমধ্যে বারামুলা জেলার উরিতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ফোন এবং ইন্টারনেট পরিষেবা। জঙ্গিদের খোঁজে চলছে চিরুনি তল্লাশি। শুধু তাই নয়, অতিরিক্ত বাহিনী এনে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। যাতে কোনওভাবেই জঙ্গিরা ওই এলাকা থেকে পালাতে না পারে। এ ব্যাপারে সরকারি বিবৃতি না দেওয়া হলেও একাধিক সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালেও উরির বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে নিরাপত্তাবাহিনী। কোনওভাবেই জঙ্গিরা যাতে পালাতে না পারে সেজন্য আরও সেনা মোতায়েন করে গোটা এলাকা নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। এদিকে, বদগাঁও এলাকায় আইইডি বিস্ফোরক উদ্ধার করে তা নষ্ট করল ভারতীয় সেনা।
[আরও পড়ুন: দু’টি নয়, করোনা ভ্যাকসিনের ৫টি ডোজ পেয়েছেন উত্তরপ্রদেশের BJP নেতা! উল্লেখ শংসাপত্রে]
কয়েকদিন আগেই এক গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছিল যে, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর টেরর লঞ্চপ্যাডগুলিকে সক্রিয় করেছে পাক সেনা। সেখান থেকে জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তইবার জঙ্গিরা ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে পারে। উল্লেখ্য, গ্লোবাল জেহাদ’ বা বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর পাকিস্তান (Pakistan)। সোভিয়েত ইউনিয়নের আফগানিস্তান অভিযানের সময় আমেরিকার টাকায় মুজাহিদ তৈরি করেছিল আইএসআই। তারপর ‘ভারতপন্থী’ মুজাহিদদের শিক্ষা দিতে তালিবান তৈরি করে দেশটি। ৯/১১ পরবর্তী বিশ্বে আফগানভূমে মার্কিন ‘মিত্রজোটে’ নাম লেখালেও গোড়া থেকেই তালিবানকে মদত দিচ্ছে ইসলামাবাদ। ফলে এবার তালিবানের মদতে ভারতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বাড়িয়ে তুলবে পড়শি দেশটি বলে আশঙ্কা করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর উরি সেনাঘাঁটিতে হামলা চালায় সীমান্তপার থেকে আসা জঙ্গিরা৷ ওই হামলায় শহিদ হয়েছিলেন ১৯ সেনা জওয়ান৷ ওই হামলার দায় স্বীকার করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা। তারপরই পালটা পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি শিবিরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায় ভারত।