সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিষ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। স্লো পয়জন। যাতে কেউ টের না পায়, আর অসুস্থ হয়ে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যান ভারতীয় সংগীতের সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar)। ছয়ের দশকে ঘটেছিল এই ঘটনা। এতদিনে সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন প্রবাদপ্রতীম শিল্পী। এমনটাই দাবি করেছে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
সংবাদমাধ্যমের কাছে নাকি ১৯৬৩ সালে ঘটা সেই ঘটনার কথা বিস্তারিত জানিয়েছেন লতা মঙ্গেশকর। ততদিনে প্রতিষ্ঠিত সংগীতশিল্পী তিনি। জানান, আচমকা কিছুদিন ধরে খুব দুর্বল বোধ করতে থাকেন। পরিস্থিতি এমন পর্যায় চলে গিয়েছিল যে কারও সাহায্য ছাড়া বিছানা থেকে উঠতে পারতেন না। ইন্ডাস্ট্রিতে খবর রটে গিয়েছিল যে লতা মঙ্গেশকর নিজের কণ্ঠ হারিয়েছেন। কিন্তু এমন কোনও সম্ভাবনাই ছিল না বলে জানান সংগীতসম্রাজ্ঞী।
[আরও পড়ুন: ‘কত নিচে নামবে এরা?’, সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে রাজনীতির অভিযোগে সরব উদ্ধব ঠাকরে]
কিংবদন্তি শিল্পী জানান, প্রায় তিন মাস শয্যাশায়ী ছিলেন তিনি। পারিবারিক চিকিৎসক ডা. আর পি কাপুরের (Dr. R P Kapoor) অক্লান্ত পরিশ্রমে সুস্থ জীবনে ফিরতে পেরেছিলেন। আরও দু’জনের অবদান কোনওদিন ভুলতে পারবেন না লতা মঙ্গেশকর। প্রথমজন কবি তথা গীতিকার মজরুহ সুলতানপুরী (Majrooh Sultanpuri)। রোজ তিনি শয্যাশায়ী লতা মঙ্গেশকরের পাশে এসে বসতেন। তাঁকে কবিতা শোনাতেন। অসুস্থ সংগীতশিল্পী যে সাধারণ খাবার খেতেন, তিনিও তাই-ই খেতেন। দ্বিতীয়জন ছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায় অর্থাৎ হেমন্ত কুমার (Hemant Kumar)। তাঁর জন্যই গানের জগতে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে পেরেছিলেন। লতাজির বাড়িতে গিয়ে তাঁর মায়ের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে, ‘বিশ সাল বাদ’ (Bees Saal Baad) সিনেমার জন্য গান গাওতে নিয়ে গিয়েছিলেন। কথা দিয়েছিলেন, সামান্যতম অসুবিধা হলেই নিজে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে যাবেন। তাঁর জন্যই গাইতে পেরেছিলেন ‘কহি দীপ জ্বলে কহি দিল গানটি’।
কিন্তু কে বিষ দিয়েছিল লতা মঙ্গেশকরকে? প্রশ্নের উত্তরে কিংবদন্তি শিল্পী জানান, তাঁর পরিবার সেই মানুষটির নাম পরে জেনেছিল। কিন্তু প্রমাণের অভাবে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। নিজের কর্মজীবনে ফিরে অতীতের স্মৃতি ভুলে যেতে চেয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর।