সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ঠান্ডা লড়াই’য়ের পরবর্তী সময়ে সামরিক শক্তির সমীকরণ পালটে দিয়ে দ্রুত উত্থান ঘটছে চিনের (China)। আর ‘ড্রাগন’-এর আগ্রাসনে এশিয়া মহাদেশে ক্ষমতার বর্তমান ভরকেন্দ্র রীতিমতো বদলে যাচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে নিজেদের উপকূলরক্ষী বাহিনীর ক্ষমতা বাড়াতে নয়া আইন প্রণয়ন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছে চিন।
[আরও পড়ুন: ফের রক্তাক্ত আফগানিস্তান, আত্মঘাতী জেহাদির হামলায় মৃত অন্তত ২১]
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতিবার নিজেদের উপকূলরক্ষী বাহিনীর ক্ষমতা বাড়িয়ে নয়া আইন প্রণয়ন করেছে চিন। সেপ্টেম্বর থেকে সেই আইন বলবৎ হবে। এই নয়া আইনে আন্তর্জাতিক জলসীমায় চিনের দাবি করা জলরাশি থেকে ‘বিদেশি’ জাহাজ বা নৌকাগুলিকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিতে পারবে কমিউনিস্ট দেশটির উপকূলরক্ষী বাহিনী। বলে রাখা ভাল, পূর্ব চিন সাগরে জাপানের সেনকাকু দ্বীপকে বরাবর নিজেদের বলে দাবি করে এসেছে বেজিং। এবার নয়া আইন পাশ হওয়ায় সেখানে চিনের উপকূলরক্ষী বাহিনী আগ্রাসী হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ‘অনুপ্রবেশ’ করলে বিদেশি জলযানগুলির উপর হামলা চালানোর অধিকার দিয়ে নিজেদের উপকূলরক্ষী বাহিনীকে আর আগ্রাসী করে তুলেছে শি জিনপিংয়ের প্রশাসন।
উল্লেখ্য, সমুদ্রে চিনা নৌবহরের আগ্রাসী কার্যকলাপের কথা মাথায় রেখে গত মার্চ মাসে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে আমেরিকা ও জাপানের উপকূলরক্ষী বাহিনীর মধ্যে।তাইওয়ানে আমেরিকার ডি ফ্যাক্টো দূতাবাস ‘আমেরিকান ইন্সটিটিউট’ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত মউ-য়ে উপকূলরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা, তথ্যের আদানপ্রদান ও কৌশলগত সহযোগিতার বিষয়টি রয়েছে। গতবছর চিনের উপর চাপ বাড়িয়ে তাইওয়ানকে (Taiwan) মিসাইল দেওয়ার কথা ঘোষণা করে আমেরিকা। সেবার ১০০টি হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র বা কোস্টাল ডিফেন্স সিস্টেম বিক্রির সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেয় তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) প্রশাসন। এই অস্ত্র চুক্তি যে চিনের উপর চাপ বাড়িয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এর আগে আগস্টের ১০ তারিখ চিনের আপত্তি উড়িয়ে তাইওয়ান সফরে গিয়েছিলেন মার্কিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যালেক্স আজার।