সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্লীলতাহানির অভিযোগে বিদ্ধ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে তীব্র আক্রমণ করে বিবৃতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) আইনজীবী সঞ্জয় বসু। তাঁর দাবি, সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তে স্পষ্ট যে রাজ্যপাল এতদিন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিবৃতি দিচ্ছিলেন। রাজ্যপালের পদ দিয়ে যৌন হেনস্তার অভিযোগ আড়াল করা যাবে না।
রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনী আবহে গত ২ মে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ ওঠে। রাজভবনের এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী দাবি করেন, রাজ্যপাল বোস (CV Ananda Bose) তাঁর শ্লীলতাহানি করেছেন। প্রথমে রাজভবনে থাকা পুলিশের কাছে একথা জানান তিনি। পরে থানায় গিয়ে একই দাবি করেন ওই মহিলা। তবে সাংবিধানিক রক্ষাকবচ থাকায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওঠা এই ধরনের বিস্ফোরক অভিযোগের ক্ষেত্রে কোনও আইনি পদক্ষেপ করতে পারেনি কলকাতা পুলিশ।
[আরও পড়ুন: তদন্তে লাগবে আগাম অনুমতি, বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশেও CBI-এর নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন!]
আইনি টানাপোড়েনে মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। শুক্রবার শুনানিতে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তে ছাড়পত্র চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে জোরাল সওয়াল করেন নির্যাতিতা। রাজ্য সরকারও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে চেয়ে সওয়াল করল শীর্ষ আদালতে। যার প্রেক্ষিতে রাজ্য ও কেন্দ্রকে একযোগে নোটিস পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। একই সঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই মামলায় আদালতকে সহযোগিতা করতে। এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক ভাবে দেখেছে রাজ্য।
[আরও পড়ুন: কোটা বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল বাংলাদেশ, অব্যাহত রক্তক্ষরণ, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩২!]
সুপ্রিম সিদ্ধান্তের পরই মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী সঞ্জয় বসু এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, "পদ এবং ক্ষমতা ব্যবহার করে যে যৌন হেনস্থার মতো ঘটনাকে ঢাকা দেওয়া যাবে না, সুপ্রিম কোর্ট সেই মর্মে দিশা দেবে।" সঞ্জয় বসু বলছেন, "শ্লীলতাহানি কাণ্ডে রাজ্যপাল যে যে বিবৃতি দিয়েছিলেন, সেগুলি ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। শুধু তাই নয়, রাজ্যপালের পদমর্যাদারও অবমাননা করা হয়েছে।"