গোবিন্দ রায়: ভোট মিটলেও রাজ্যে হিংসা অব্যাহত! অভিযোগ, লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন অংশে আক্রান্ত বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মীরা। অবিলম্বে তাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আইনজীবীরা। বৃহস্পতিবার বেলা দুটোয় মামলার শুনানি।
এবার লোকসভা নির্বাচনে তেমন বড় কোনও অশান্তি হয়নি। সপ্তম দফার ভোটপর্ব শেষে সে কথা জানিয়েছেন খোদ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। তবে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর অশান্তির আশঙ্কা করেন। তাই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের মেয়াদও বাড়ানো হয়। সেই আশঙ্কাই যেন সত্যি হল! মঙ্গলবার রাত থেকেই বিরোধী শিবিরের দাবি, বঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে তাঁদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। প্রায় প্রতি ক্ষেত্রেই কাঠগড়ায় তৃণমূল। যদিও সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক শিবির। আইনজীবী সুস্মিতা দত্ত সাহার দাবি, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ১১ জন বিরোধী দলের কর্মী এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন।
[আরও পড়ুন: ‘সব দোষ দিলীপ ঘোষ, ক্ষমতায় থাকলে নিতে হবে দায়’, শুভেন্দু-সুকান্তকে বিঁধলেন দিলীপ]
নারকেলডাঙা, বেলগাছিয়া, যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত নরেন্দ্রপুর থেকে মিলেছে সন্ত্রাসের খবর। সেখানে বিজেপি প্রার্থীর পোলিং এজেন্টকে মারধর এবং বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া বেহালার রবীন্দ্রনগরে বিজেপি নেতার দোকানে তাণ্ডবের অভিযোগ। কাঠগড়ায় শাসক শিবির। যদিও সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। শুধু কলকাতাই নয়। জেলায় জেলায় মিলেছে অশান্তির খবর। শুধু দক্ষিণবঙ্গই নয়। উত্তরবঙ্গেও চলছে অশান্তি। এবার এর বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দৃষ্টি আর্কষণ করলেন আইনজীবী।