সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আদ্যপান্ত বামপন্থী। অথচ দলমত নির্বিশেষে সব শিবিরের কাছে গ্রহণযোগ্য। সীতারাম ইয়েচুরি সেই বিরল বামপন্থী, আধুনিক চিন্তাভাবনা এবং প্রযুক্তিকে আপন করে নিতেও যিনি কুণ্ঠাবোধ করতেন না। ইয়েচুরির প্রয়াণে স্বাভাবিকভাবেই শোকের ছায়া নেমেছে রাজনৈতিক মহলে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলেই শোকপ্রকাশ করেছেন।
মতাদর্শগত ভিন্ন অবস্থানে থাকা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইয়েচুরির রাজনৈতিক প্রজ্ঞাকে শ্রদ্ধা জানালেন। তাঁর ভাষায়, "বামপন্থীদের আলোর দিশারী ছিলেন ইয়েচুরি। ভিন্ন মতাদর্শের রাজনীতিবিদদের সঙ্গেও ভালো সমন্বয় সাধন করতে পারতেন তিনি। সাংসদ হিসাবেও নজর কেড়েছেন। ওঁর পরিবারের প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানাই।" রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও ইয়েচুরির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন। তিনি বলছেন, "ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে জাতীয় স্তরে প্রভাবশালী কন্ঠ হিসাবে উঠে এসেছিলেন। একটি নির্দিষ্ট মতাদর্শে বিশ্বাসী হলেও সেই মতাদর্শের বাইরেও বহু বন্ধু ছিল তাঁর। আমি হৃদয় থেকে পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানাই।"
[আরও পড়ুন: ‘শূন্য ছিলি, শূন্য থাকবি’, বিতর্কিত পোস্টে ‘কমরেড’দের নিশানা পুলিশ ইন্সপেক্টরের, শুরু তদন্ত]
লোকসভার বিরোধী দলনেতা দলনেতা রাহুল গান্ধী ইদানিং ইয়েচুরির ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন। ইয়েচুরির প্রয়াণে শোকবিহ্বল রাহুল গান্ধীও। তিনি বলছেন, "সীতারাম ইয়েচুরি আমার বন্ধুস্থানীয়। ভারত নামক ধারণার রক্ষাকর্তা। যার এই দেশ সম্পর্কে সম্যক ধারণা ছিল।" মল্লিকার্জুন খাড়গেও শোকপ্রকাশ করেছেন। তাঁর কথায়, "ইয়েচুরি একজন অনবদ্য সাংসদ। আদর্শ এবং প্রাণবন্ততার সঙ্গে দেশের সেবা করেছেন তিনি।"
[আরও পড়ুন: নমাজ-আজানের সময়ে বন্ধ পুজো! হিন্দুদের ‘অনুরোধ’ বাংলাদেশ সরকারের]
এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও শোকাহত। তিনি সোশাল মিডিয়ায় লিখলেন, সীতারাম ইয়েচুরির প্রয়াণের খবরে আমি দুঃখিত। আমি জানি উনি সাংসদ হিসাবে কতটা প্রভাবশালী ছিলেন। এটা জাতীয় রাজনীতির জন্য বড়সড় ক্ষতি। আমি তাঁর পরিবার, বন্ধু এবং সহকর্মীদের শোক জানাই।"