সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটা বছর হুস করে চলে যায়। সময়ের যেন ঠাহর করা যায় না। ঠিক সেভাবেই ফুরিয়েছে ২০১৬। শুরু হয়ে গিয়েছে নতুন বছর। সেও হুহু করে শেষের দিকে এগোবে। তবে এ বছরে যোগ হচ্ছে বাড়তি সময়। ন্যাশনাল ফিজিক্যাল ল্যাবরেটরি নতুন বছরের খাতায় যোগ করেছে এক লিপ সেকেন্ড।
মোটে এক সেকেন্ড বাড়তি হওয়ায় হয়তো দৈনন্দিন জীবনে তেমন কিছু প্রভাব পড়বে না। কিন্তু বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষত জ্যোর্তিবিজ্ঞান, স্যাটেলাইট নেভিগেশন, কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে এই একটা সেকেন্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু কেন যোগ হল বাড়তি একটি সেকেন্ড? নিজ অক্ষের চারিদিকে পৃথিবীর যে ঘূর্ণন তা সবসময় একরকম হয় না। কখনও সে গতি বাড়ে। কখনও বা ভূমিকম্প বা চাঁদের আকর্ষণের কারণে তা একটু শ্লথ হয়ে পড়ে। এর ফলে সময়ের একটি ফারাক তৈরি হয়। সময়ের দুটি স্ট্যান্ডার্ড ধরা হয়। একটি অ্যাসট্রোনমিক্যাল টাইম। দিন-রাতের পুনরাবৃত্তি বা মাস-বছর ইত্যাদি যে সময়ের হিসেবে হয়। আর একটি হল অ্যাটোমিক টাইম, যা আণবিক কম্পন বা অ্যাটমিক অসিলেশানের ভিত্তিতে নির্ণয় করা হয়। পৃথিবীর ঘূর্ণনের গতির তারতম্যের জন্য এই দুই সময়ের মধ্যেই ফারাক বাড়ে। তখন একটু ভর্তুকি দিয়ে কাঁটাটা মিলিয়ে নিতে হয়। অর্থাৎ অ্যাসট্রোনমিক্যাল টাইম ও অ্যাটোমিক টাইমের মধ্যে এই ফারাক বাড়তে বাড়তে যখন ০.৯ সেকেন্ডে যখন পৌঁছায়, তখন অ্যাসট্রোনমিক্যাল টাইমে একটি লিপ সেকেন্ড যোগ করা হয়। এ বছরটা ঠিক সেরকমই।
এই সময় বাড়ানোর ঘটনা যে হামেশাই হয় এমনটা নয়। তাই নিঃসন্দেহে এটি ব্যতিক্রমী। ১৯৭২ সালের পর থেকে এই নিয়ে ৩৭তম বার এইভাবে লিপ সেকেন্ড যোগ করা হল।
The post নতুন বছরে যোগ হচ্ছে বাড়তি সময় appeared first on Sangbad Pratidin.