সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেইরুট বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে বিপর্যস্থ লেবানন। ধামাকার জেরে ঘটা অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির পাশাপাশি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে বন্দরের গোদামগুলিতে মজুত রাখা হাজার হাজার টন খাদ্যশস্য। পরিস্থিতি যে কতটা খারাপ তা স্পষ্ট করে দেশটির অর্থমন্ত্রী রাউল নেহমে জানিয়েছেন, মাত্র এক মাসের মতো শস্য রয়েছে সরকারের হাতে।
[আরও পড়ুন: বেইরুট বিস্ফোরণে কোনও হাত নেই, জল্পনা উড়িয়ে জানাল ইজরায়েল]
বুধবার সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে লেবাননের অর্থমন্ত্রী জানান, দেশের জনগণের খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গেলে অন্তত তিন মাসের শস্য মজুত রাখা হয়। কিন্তু বিস্ফোরণের জেরে বন্দরের গোদামগুলিতে মজুত থাকা শস্যভাণ্ডার নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কোনওমতে মাসখানেক চালানোর মতো খাবার রয়েছে সরকারে হাতে। লেবাননের ত্রিপোলি (লিবিয়ার রাজধানী নয়) বন্দরের ডিরেক্টর আহমেদ তামের জানিয়েছেন, বেইরুট বন্দরের গোদামগুলিতে ১ লক্ষ ২০ হাজার টন খাদ্যশস্য মজুত রক্ষার ক্ষমতা রয়েছে। বিস্ফোরণের সময় বন্দরে প্রায় ১৫ হাজার টন গম মজুত ছিল যা পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। স্বস্তির বিষয় অনেক ব্যবসায়ী আগেই মাল খালাস করে নেওয়ায় মাস খানেকের মতো বাজারে আটার জোগান রয়েছে। এছাড়া, প্রায় ২৮ হাজার টন গম নিয়ে বন্দরে আসছে চারটি জাহাজ।
মঙ্গলবার রাতে প্রচণ্ড বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বেইরুট বন্দর। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে শতাধিক মানুষের। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার। অনেকরই অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ২,৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ফেটে এই বিস্ফোরণ হয়। সার ও বোমা তৈরির জন্য ব্যবহৃত এই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক গত ৬ বছর ধরে বন্দরের গোদামে মজুত করা ছিল। তাও আবার কোনও সুরক্ষাবিধি না মেনেই। যা নিয়ে প্রশাসনিক গাফিলতি প্রকট হয়েছে। তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন লেবাননের রাষ্ট্রপতি মিখেল আউন। বিস্ফোরণের জেরে আগামী দু’সপ্তাহ দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। লেবাননের প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যারা ঘটনার জন্য দায়ী তাদের মূল্য চোকাতে হবে। জাতীয় নিরাপত্তার কারণে লেবাননের বেইরুট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: তাইওয়ান দখল হবেই, আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি চিনের সেনাকর্তার]
The post বিস্ফোরণে পুড়ে ছাই শস্যভাণ্ডার, মাত্র এক মাসের খাবার আছে লেবাননে appeared first on Sangbad Pratidin.