রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: একসময়ে ব্রিগেডের জনসভার রং ছিল শুধুই লাল। ধুলোর শহরেও স্পষ্ট চেনা যেত কাস্তে-হাতুড়ি-তারার নিশানগুলি। বিরাট ময়দান ভরে উঠত দূরদূরান্ত থেকে আসা খেটে খাওয়া সমস্ত শ্রমজীবী মানুষের ভিড়ে। ২০১১ সালের পর থেকে সে ছবি বদলে গিয়েছে, তা মানেন তাবড় বাম নেতারাও। তবে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগে বিমান বসুদের ব্রিগেড সমাবেশ কিংবা সম্প্রতি বাম যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-এর ‘ইনসাফ যাত্রা’য় সেই ছবি কিছুটা ফিরেছিল। বহু সফল জনসভার এই স্থান থেকেই চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল (TMC)। আর তাদের পালটায় ওই একইদিনে বামেরা বেছে নিচ্ছে এই মুহূর্তে রাজ্য রাজনীতির অন্যতম স্পর্শকাতর কেন্দ্র হয়ে ওঠা সন্দেশখালি। আগামী ১০ মার্চ সন্দেশখালির বুকে বড়সড় জনসভার আয়োজন করেছে বামফ্রন্ট (Left Front)। যদিও পুলিশের অনুমতি মেলেনি এখনও। কিন্তু না পেলেও সভা করতে মরিয়া সেলিম, মীনাক্ষীরা।
প্রায় দেড় মাস ধরে জ্বলছে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। একাধিকবার বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রীরা সেখানে যেতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছেন। শনিবারও ডিওয়াইএফআই সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (Minakshi Mukherjee) শাড়ি পরে, মাথা ওড়নায় ঢেকে ঘুরপথে সন্দেশখালির অন্দরে কিছুটা ঢুকতে পারলেও শেষপর্যন্ত পুলিশি বাধার মুখে পড়েন বাম নেতৃত্ব। যদিও লড়াইয়ের মাটি কামড়ে পড়েছিলেন মীনাক্ষী। পরে আবারও সন্দেশখালি যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। আগামী ২ মার্চ বসিরহাট এসপি অফিস ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছে বাম যুব সংগঠন।
[আরও পড়ুন: এবার অন্য কারও সঙ্গে ঘর বাঁধছেন অনুপম রায়, পাত্রী কে?]
রবিবার ১০ মার্চ ব্রিগেডে ‘জনগর্জন সভা’র ঘোষণা করেছে তৃণমূল। প্রধান বক্তা হিসেবে থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর ওই একই দিনে সন্দেশখালিতে বড় জনসভার ঘোষণা করেছে সিপিএম। মহম্মদ সেলিম, মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ছাড়াও বাম শরিকদলের নেতারাও এই সভায় যোগ দিতে আগ্রহী। এমনকী বামমনস্ক বুদ্ধিজীবী, শিল্পী, অভিনেতাও ১০ মার্চ সন্দেশখালির এই সভায় যোগ দিতে পারেন বলে খবর। আর এই সভাই তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশকে টেক্কা দিতে চায়। সিপিএমের এক নেতার বক্তব্য, সন্দেশখালি ২ ব্লকে জনসভা করার জন্য সেখানকার পুলিশের অনুমতি চেয়েছি। এখনও অনুমতি মেলেনি। তবে এভাবে আটকানো যাবে না।