রমেন দাস: আর জি কর কাণ্ডে এবার রাত দখলের ডাক বাম ছাত্র-যুব এবং মহিলা সংগঠনের। সুবিচারের দাবিতে শ্যামবাজার মোড়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, দীপ্সিতা ধররা। বাম যুব ও ছাত্র সংগঠনগুলির দাবি, যতদিন না নির্যাতিতার পরিবার সুবিচার পাচ্ছে, ততদিন ধরনা এবং অবস্থান কর্মসূচি চলবে।
আরজি কর-কাণ্ডে ন্যায়-বিচার ও অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে এবং রাজ্যজুড়ে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে দুর্নীতির প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাজাবাজার ট্রাম ডিপো থেকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল পর্যন্ত মিছিলের আয়োজন করে বামেরা। ‘ব্যর্থ প্রাণের আবর্জনা পুড়িয়ে ফেলে আগুন জ্বালো’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে মিছিল শুরু হয়। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে বামেদের মিছিল আর জি কর হাসপাতাল পর্যন্ত যেতে দেওয়া হয়নি।
[আরও পড়ুন: ১৬ স্টেশনে আরও সকালে মিলবে মেট্রো, জেনে নিন সময়সূচি]
শ্যামবাজার মোড়ে পুলিশ মিছিল আটকায়। সেখানেই রাস্তায় বসে পড়েন বাম নেতা কর্মীরা। দীপ্সিতা ধর, মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ বাম নেতারাও বসে পড়েন রাস্তায়। তারপরই বাম যুব, ছাত্র ও মহিলা সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, এই অবস্থান চলবে। বাম যুব নেত্রী দীপ্সিতা ধর জানিয়েছেন, "অনির্দিষ্টকালের জন্য আমরা রাস্তায় বসেছি। ধরনা অবস্থান চালাব। নানান অভিযোগ উঠেছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। সব কিছুর পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চাই। এই ঘটনার বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।" আরেক ছাত্র নেতা পাভেল রায়চৌধুরীও বলছেন একই কথা। তাঁর বক্তব্য, আমরা শুরু থেকেই আন্দোলনে আছি। আগামী দিনেও পথে থাকব। কারণ পথ থেকেই আন্দোলনের শুরু হয়।
[আরও পড়ুন: কর্তৃপক্ষ চাইলে ইস্তফায় রাজি সিপি! বৈঠকের পর দাবি আন্দোলনকারীদের]
শ্যামবাজার মোড়ে আপাতত রাস্তার একপাশে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন বাম যুব সংগঠন, ছাত্র সংগঠন এবং মহিলা সংগঠনের নেতানেত্রীরা। রাস্তার আরেক প্রান্ত দিয়ে যান চলাচল হচ্ছে। পুলিশের তরফে ধরনাস্থল ঘিরে দেওয়া হয়েছে। তবে এই বিক্ষোভ সমাবেশের জন্য কোনও রকম পুলিশি অনুমতি নেওয়া হয়নি। এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে জানিয়েছেন, "যে পুলিশ অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা করে, আমরা তাদের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করছি না।"