সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: করোনা রিপোর্ট পজিটিভ হওয়ার পরও দোকানে যাচ্ছিলেন দুর্গাপুরের এক বস্ত্র বিপণির অন্যতম কর্ণধারের বাড়ির সদস্যরা। এই অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করছে দুর্গাপুর নগর নিগম। একই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে ওই পরিবারের আরও দুটি দোকানের বিরুদ্ধেও।
দিন কয়েক আগে কলকাতায় গিয়েছিলেন দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার ষ্টেশন বাজার এলাকার এক বস্ত্রবিপণির অন্যতম কর্ণধার। সেখান থেকে ফেরার পর জ্বরে কাবু হন। এরপর তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্ট পজিটিভ আসে। নগরনিগম সূত্রে খবর, রিপোর্ট আসার পর ওই ব্যক্তি তিনদিন ঘরবন্দি ছিলেন। তবে এই সময়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার বদলে তাঁর পরিবারের সদস্যরা নিয়মিত দোকানে গিয়েছেন।
[আরও পডুন: লস্কর লিংকম্যান তানিয়ার বাদুড়িয়ার বাড়িতে তল্লাশি NIA-এর, উদ্ধার ডায়েরি ও বইপত্র]
এরপর ওই কর্ণধারের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে, তাঁকে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। এতেই গোটা বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। পরিবারের ৫ সদস্যের লালারস পরীক্ষা করা হয়। তাঁদের রিপোর্টও করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। বস্ত্র বিপণী-সহ সগড়ভাঙার জোনাল মার্কেটে ওই পরিবারের আরও দুটি দোকান আছে। ওই পরিবারের এতজন একসঙ্গে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এলাকা সিল করে স্যানিটাইজ করা হয় দুর্গাপুর নগর নিগমের তরফে।
[আরও পডুন: জামিনের পরেও জেলবন্দি তেলিনিপাড়া কাণ্ডের ২ ধৃত, প্রতিবাদে বিক্ষোভ পরিজনদের]
করোনা নিয়েও কেন দোকানে যাতায়াত, এই প্রশ্ন তুলে এবার এই তিন দোকানের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হতে চলছে বলে জানিয়ে দিলেন দু্র্গাপুরের মেয়র দিলীপ অগস্তি। ওই তিন দোকানের ট্রেড লাইসেন্স সাময়িক বাতিল হতে পারে বলে জানা গেছে। মেয়র দিলীপ অগস্তি বলেন, “সচেতন ও দায়িত্বশীল নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও তাঁরা সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি করেছেন। তাঁদের দ্বারা আরও কারা কারা আক্রান্ত হয়েছেন, তা এখনও জানা যায়নি। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” পুলিশ ও স্বাস্থ্যদপ্তরের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই আইনি প্রক্রিয়া নেওয়া হবে
বলে জানা গিয়েছে।
The post করোনা নিয়েও দোকানে যাতায়াত, বস্ত্রবিপণির কর্ণধারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন appeared first on Sangbad Pratidin.