গোবিন্দ রায়: রাজ্যের একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয়েছিল হাই কোর্টে (Calcutta High Court)। সেই সংক্রান্ত মামলা এখনও বিচারাধীন হাই কোর্টে। যার জেরে এক বছরের বেশি বিধায়ক শূন্য থাকার সত্বেও মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন নিয়ে জট কাটল না।
জানা গিয়েছে, গত বছর ফেব্রুয়ারিতে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের দীর্ঘদিনের বিধায়ক সাধন পাণ্ডের মৃত্যুর পর ওই কেন্দ্রে শূন্যতা তৈরি হয়। ১৯৫১ সালের জন প্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী কোন বিধায়কের ইস্তফা এবং মৃত্যুর কারণে কোনও বিধানসভা কেন্দ্রে শূন্যতা তৈরি হলে সেই কেন্দ্রে শূন্যতা তৈরির দিন থেকে ছ’মাসের মধ্যে উপনির্বাচন সংগঠিত করিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু সাধন পাণ্ডের মৃত্যুর পর বছর খানেক ঘুরে গেলেও তেমনটা হয়নি। কারণ গত বিধানসভা নির্বাচনে সাধন পাণ্ডে মানিকতলা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পরেই গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে।
[আরও পড়ুন: ভাঙড়ে তিনদিন ধরে পুড়ছে বিপুল নথি, ছাই ঘেঁটে দুর্নীতি তদন্তের সূত্র খুঁজছে CBI]
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে দায়ের হওয়া সেই মামলার নিষ্পত্তি এখনও হয়নি। যে কারণে ওই কেন্দ্রের উপনির্বাচন এখনও বকেয়া রয়েছে। এদিকে বিধায়ক শূন্য এলাকায় উপনির্বাচনের আরজি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে। সোমবার হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবাগ্নাণম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানিতে, ওই জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ধারাকে উল্লেখ করে মামলাকারীর আইনজীবী কিশোর দত্ত নির্বাচনের দাবি জানান। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের পালটা জানান জনপ্রতিনিধিত্ব আইনেই বলা আছে যতক্ষণ না নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে ততক্ষণ উপনির্বাচন সম্ভব নয়।
সবপক্ষের বক্তব্য শোনার পর এদিন জনস্বার্থ মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত জানিয়েছে, মূল মামলার নিষ্পত্তি না হলে ওই কেন্দ্রে নির্বাচন সম্ভব নয়। অতএব মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনের বিষয়টি আপাতত ঝুলেই রইল।