সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আদালতের রায়ে আইনের কোনও ফাঁকফোকর ধরা পড়লে সেটা শুধরে দিতে পারে আইনসভা। কিন্তু কোনওভাবেই আইন এনে আদালতের রায় বদলে দিতে পারে না। বা বাতিল করে দিতে পারে না। সাফ জানিয়ে দিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (D Y Chandrachud)।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান বিচারপতি বলেছেন, একজন বিচারক কখনও ভাবেন না তাঁর দেওয়া এই রায়ে সমাজে কী প্রভাব পড়বে। বা সমাজ এটাকে কীভাবে নেবে। একটা নির্বাচিত সরকার এবং বিচারবিভাগের মধ্যে এটাই মূল পার্থক্য। বিচারপতি চন্দ্রচুড় বলছেন, “একজন আইন প্রণেতা কী করতে পারেন, আর কী করতে পারে না, সেটার একটা সীমাবদ্ধতা আছে।”
[আরও পড়ুন: বাঙালি থ্রিলার ‘ছোটলোক’-এর রক্তমাংসের ‘হিরো’ সাবিত্রীর গল্প শোনালেন পরিচালক ইন্দ্রনীল]
প্রধান বিচারপতির বক্তব্য, “যদি কোনও রায় নির্দিষ্ট আইনের সীমাবদ্ধতা দেখিয়ে দেয়। আইনে কোথায় ফাঁক আছে সেটা দেখিয়ে দেয়, সেই আইন সংশোধন করার জন্য উদ্যোগ নিতে পারে সরকার। কিন্তু কোনও বিচারপতি যদি কোনও রায় দেন, আইন এনে সেই রায় বদলে দেওয়ার বা বাতিল করে দেওয়ার ক্ষমতা জনপ্রতিনিধিদের নেই।” এমন এক সময়ে দাঁড়িয়ে প্রধান বিচারপতি এই মন্তব্য করলেন যখন একাধিক ইস্যুতে দেশের বিচারবিভাগ এবং নির্বাচিত সরকারের মতবিরোধ প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এমনকী আইন এনে আদালতের রায় বাতিল করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ হল দিল্লির আমলা বিল। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) দিল্লির আমলাদের নিয়ন্ত্রণ নির্বাচিত সরকারের হাতে তুলে দেওয়ার পরই আইন এনে সেই রায় বদলে দিয়েছে কেন্দ্র।
[আরও পড়ুন: এক ফুল দো মালি! শুভমানের প্রেমের ক্রিজে নবাবকন্যাকে বোল্ড আউট শচীনকন্যার?]
বিচারবিভাগ এবং প্রশাসন। ভারতীয় গণতন্ত্রের দুই স্তম্ভ। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলেন, এই দুই স্তম্ভের মধ্যে কোথাও একটা সুক্ষ্ম বিরোধ আছে। অনেক সময়ই দেখা যায় প্রশাসন বিচারবিভাগকে ছাপিয়ে ‘স্বেচ্ছাচারিতা’র চেষ্টা করে। আবার বিচারবিভাগ সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করলেও ক্ষমতাবলে তা বদলের চেষ্টা করে সরকার। সেটা নিয়েই এবার সরব হলে প্রধান বিচারপতি।