সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার লখনউয়ের (Lucknow) লোকালয়ে চিতার (Leopard) হানা। ঘটনায় আহত হয়েছেন ৭ জন। স্থানীয় গুদাম্বা থানা এলাকায় ঘটানাটি ঘটেছে। আতঙ্কে বাড়ির বাইরে বেরোনো বন্ধ করে দিয়েছেন এলাকাবাসী। বন দপ্তর ও পুলিশের হাজার চেষ্টাতেও এখনও অবধি চিতাটিকে পাকড়াও করা যায়নি বলে জানা গিয়েছে।
হামলাকারী পুরুষ চিতা বাঘটিকে গুদাম্বা থানা এলাকার কল্যাণপুর, আদিলনগর, পাহাড়পুর, ফুলবাগ ও জানকিপুরম এলাকায় ঘুরতে দেখা গিয়েছে। স্বভাবতই ভয়ে ঘুম ছুটেছে স্থানীয়দের। তাঁরা অনেকেই পাড়ার গলি দিয়ে হেঁটে যেতে দেখেছেন চিতাটিকে। এছাড়াও একাধিক সিসিটিভি (CCTV) ক্যামেরাতেও ধরা পড়েছে লোকালয়ে বাঘের বিচরণ।
শুরুতে চিতায় হামলায় আহত হন কল্যাণপুর স্কুল ক্যাম্পাসে বাসিন্দা এক মহিলা। ওই মহিলাকে ক্ষতবিক্ষত করে দেয় চিতা বাঘটি। আহত মহিলার শরীরের ৩২টি স্টিচ করতে হয়েছে। আতঙ্কিত মহিলা জানান, “সকাল আটটা নাগাদ আমি মাঠে কাজ করছিলাম। আচমকা পিছন থেকে আক্রমণ করে চিতা।” কাছেই ছিলেন মহিলার স্বামী। তিন ছুটে এলে চিতাটি পালিয়ে যায়। ততক্ষণে রক্তারক্তি হয়ে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: কুলতলিতে অব্যাহত ‘বাঘবন্দি খেলা’, ড্রোন উড়িয়েও অধরা বাঘ, নতুন কৌশল বনকর্মীদের]
খবর পেয়ে শনিবার ঘটনাস্থলে আসে বন বিভাগের কর্মীরা। যদিও এরপরে আরও এক ব্যক্তির উপর হামলা চালায় চিতা। এভাবে শনিবার থেকে রবিবার অবধি ৭ জনের উপর হামলা চালিয়েছে বাঘটি। শনিবার রাতে একটি জালে চিতাটি ধরা পড়লেও বন দপ্তরের কর্মীদের হাত ফসকে পালিয়ে যায়। তারপর থেকে এখনও অবধি চিতাটিকে ধরা যায়নি বলে জানা গিয়েছে। নিরাপত্তার কারণে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে এলাকায়। চিতা ধরতে যৌথ অভিযান চালাচ্ছে বন দপ্তর ও পুলিশ কর্মীরা। তারপরেও চিতার ভয়ে পথে বেরোতে পারছেন না স্থানীয়রা।
[আরও পড়ুন: পিটিয়ে খুন করা হয়েছে ডুয়ার্সের চিতাবাঘটিকে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে চাঞ্চল্য]
প্রসঙ্গত, ‘বাঘবন্দি খেলা’ চলছে এরাজ্যেও। বনকর্মীদের সমস্ত প্রচেষ্টা, অপেক্ষায় জল ঢেলে পঞ্চম দিনেও ধরা পড়েনি কুলতলিতে ত্রাস জাগানো রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার (Royal Bengal Tiger)। ড্রোন উড়িয়েও ধরা যায়নি ‘বাঘমামা’কে। ফলে দমকলকে ডাকা হয়েছে, বসানো হচ্ছে ক্যামেরা। ঝোপের মধ্যে থেকে এদিন বাঘ বাইরে বের করে আনার জন্য একের পর এক বাজি ফাটানো হয়। তাতেও সাড়া মেলেনি দক্ষিণরায়ের। ফলে কীভাবে তাকে ধরা হবে, তা নিয়ে চিন্তিত বনদপ্তর।