সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেই চতুর্থীতেই ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছিল ৪ হাজারের গণ্ডি। তারপর থেকে রোজই তা ছিল ঊর্ধ্বমুখী। উদ্বেগ বাড়িয়ে কমেছিল সুস্থতার হারও। তবে উমা কৈলাসে ফিরতেই সামান্য হলেও বদলাল ছবিটা। একাদশীতে রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নামল ৪ হাজারের নিচে। সামান্য হলেও বৃদ্ধি পেয়েছে সুস্থতার হার।
মঙ্গলবার সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পরিসংখ্যানে খানিকটা হলেও স্বস্তি মিলেছিল। বহুদিন পর দেশে একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৩৬ হাজারের কিছু বেশি। আর এদিন সন্ধেয় রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন দেখে সাময়িক স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারেন রাজ্যবাসী। বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা (Corona Virus) আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৯৫৭ জন। এদিন বাংলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩ লক্ষ ৫৭ হাজার ৭৭৯ জন। যার মধ্যে শুধু কলকাতাতেই আক্রান্ত ৮৮৪ জন। এর ঠিক পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে একদিনে আক্রান্ত হয়েছে ৮৭৫ জন। উত্তরে সর্বাধিক আক্রান্ত হয়েছে পর্যটকে ঠাসা দার্জিলিং-এ। সেখানে একদিনে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ১৩২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার বলি ৫৮। ফলে করোনায় রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৬০৪ জন।
[আরও পড়ুন: অমানবিক শিক্ষক! বারান্দা থেকে ঘুমন্ত শ্রমিককে তাড়াতে রড দিয়ে মেরে খুনের অভিযোগ]
উৎসবের মরশুমে উদ্বেগের মধ্যেই রাজ্যবাসীকে সামান্য স্বস্তি দিয়েছে সুস্থতার হার। এদিন তা আরও খানিকটা ইতিবাচক। রাজ্যের তথ্য বলছে, একদিনে করোনা জয় করে প্রিয়জনদের কাছে ফিরে গিয়েছেন ৩ হাজার ৯১৭ জন। ফলে বর্তমানে বাংলায় করোনাজয়ীর মোট সংখ্যা ৩ লক্ষ ১৪ হাজার ৩ জন। সুস্থতার হার ৮৭.৭৬ শতাংশ।
উৎসবের মরশুমে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি যে আরও ভয়াবহ রূপ নেবে, তা আগেই আশঙ্কা করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। সে সব আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে চলতি বছর মণ্ডপে দর্শনার্থী প্রবেশের ক্ষেত্রে জারি করা হয় নিষেধাজ্ঞা। বাইরে বেরলেই মাস্ক ব্যবহারের উপর দেওয়া হচ্ছে জোর। এছাড়া কোভিড বিধি মেনে স্যানিটাইজার ব্যবহারের কথাও বলা হয়। যদিও অনেকেই করোনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পুজো পরিক্রমায় বেরিয়েছিলেন। তবে উৎসব শেষ হতেই উল্লেখযোগ্যভাবেই কমল সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২,১০৮টি স্যাম্পেল টেস্ট হয়েছে। টেস্টিংয়ের মাধ্যমেই করোনার বিরুদ্ধে চলছে লড়াই।