shono
Advertisement

Durga Puja 2022: স্বপ্নাদেশ মেনে আজও ভিক্ষে করেই হয় দুর্গা আরাধনা, জানেন মু্র্শিদাবাদের মিশ্রবাড়ির পুজোর ইতিহাস?

৪২২ বছরে পড়ল মুর্শিদাবাদের মিশ্র বাড়ির পুজো।
Posted: 09:15 PM Sep 15, 2022Updated: 09:15 PM Sep 15, 2022

শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: স্বপ্নে পুজোর নির্দেশ দিয়েছিলেন ভবতারিনী। অর্থাভাব জেনে ভিক্ষে করে পুজোর নির্দেশ দেন। সেই নিয়ম মেনে আজও ভিক্ষে করেই দেবী পুজিতা হন মুর্শিদাবাদের মিশ্র বাড়িতে। এবার ৪২২ বছরে পড়ল সেই পুজো।

Advertisement

মিশ্র বাড়ির পুজোর নেপথ্যে রয়েছে এক বিশেষ কাহিনী। পরিবারের সন্তান অমিত মিশ্র জানান, তাঁর পরিবারের পূর্বপুরুষ ছিলেন ঠাকুর মিশ্র। তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। দরিদ্র ব্রাহ্মণ ঠাকুর মিশ্র পুজো করে কোনওমতে সংসার চালাতেন। একদিন এক শাঁখারি গঙ্গার তীর দিয়ে শাঁখা বিক্রি করতে করতে যাচ্ছিলেন। আচমকা এক কিশোরী তাঁর কাছে শাঁখা পড়তে চায়। শাঁখারি কিশোরীকে শাঁখা পরিয়ে দাম চাইলে সে বলে, তার বাবা ঠাকুর মিশ্র দাম দেবেন। শাঁখারি ঠাকুর মিশ্রের বাড়িতে গিয়ে দাম চান। শাঁখারীর কথায় হতভম্ব হয়ে পড়েন ঠাকুর মিশ্র। কারণ, তিনি তো নিঃসন্তান।

[আরও পড়ুন: প্রথম ভারতীয় হিসেবে অনন্য সাফল্য, দুর্গম ‘মাউন্ট আলি রত্নি টিব্বা’ জয় বাংলার ৪ পর্বতারোহীর]

শাঁখারী বলেন, কিশোরী নাকি বলেছিল 'বাবাকে বলবে বাড়ির কোঠায় লাল শালুর নিচে কড়ি রাখা আছে।" ঠাকুর মিশ্র শাঁখারীর কথা মতো ঘরের ভিতরের কোঠায় লাল শালু সরাতেই চমকে ওঠেন। দেখেন সেখানে কড়ি রাখা। সেই রাতেই ঠাকুর মিশ্রকে স্বপ্নে দেখা দেন মা ভবতারিণী। ভোর হতেই ঠাকুর মিশ্র ছুটে যান গঙ্গার তীরে। ঠাকুর মিশ্র দেখতে পান, মাঝগঙ্গায় এক কিশোরী দশ হাতে শাঁখা পড়ে দাঁড়িয়ে আছে। গঙ্গা থেকে তাঁকে নিয়ে এসে বাড়িতে প্রতিষ্ঠা করতে করার নির্দেশও দিয়েছিলেন ভবতারিনী। ঠাকুর মিশ্র দারিদ্রতার কারণে দেবীর নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর দেবী ভিক্ষে করে পূজিত হওয়ার কথা বলেন।

দেবীর নির্দেশে ঠাকুর মিশ্র ভিক্ষে করে মিশ্র বাড়িতে প্রথম পূজার সূচনা করেছিলেন। বর্তমানে মিশ্র বাড়ির অর্থনৈতিক সংকট মোচন হলেও প্রাচীন রীতি মেনে আজও নিকট আত্মীয়দের কাছ থেকে ভিক্ষা গ্রহণ করে দেবী পূজিত হয়ে চলেছেন। ১৩১১ বঙ্গাব্দে গঙ্গা ভাঙ্গনে দেবীর থানের একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। দেবীর থানে দুটো বড় সাপের দর্শন দেখতে পান পরিবারের লোকেরা। রাতে দেবীর স্বপ্নাদেশ পান মিশ্র পরিবারের লোকেরা। দেবী অন্যস্থানে প্রতিষ্ঠিত হতে চান। দেবীর নির্দেশে মিশ্র পরিবার দেবীর থান তুলে নিয়ে আসেন ফরাক্কার পলাশী গ্রামে। প্রতিষ্ঠা করা হয় দেবীর মন্দির। ধুমধাম সহকারে আজও সেখানে পূজিত হয়ে চলেছেন মা দুর্গা। বহু মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন জাগ্রত দেবীর দর্শনে। হয় পশু বলিও।

[আরও পড়ুন: ঘরে মায়ের গলাকাটা দেহ, সিলিংয়ে ঝুলছে বাবা! পাশে বসে রাত কাটাল ৪ বছরের শিশু]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement