সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুজরাটের (Gujarat) মুন্দ্রা বন্দর থেকে উদ্ধার হওয়া মাদক দ্রব্য় কাজে লাগিয়ে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালানোর পরিকল্পনা ছিল লস্কর-ই-তইবার। সোমবার এই কথা জানিয়ে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিল এনআইএ (NIA)। ২০২১ সালে আদানি গোষ্ঠী পরিচালিত মুন্দ্রা বন্দর (Mundra Port) থেকে প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকার মাদক উদ্ধার করা হয়। এই মাদক বিক্রি করেই ভারতে জঙ্গি কর্মকাণ্ড বাড়ানোর পরিকল্পনা ছিল লস্কর-ই- তইবার।
সোমবার এনআইএ যে রিপোর্ট পেশ করেছে, তাতে বলা হয়েছে, “ভারতের মাটিতেই একাধিক দপ্তর রয়েছে লস্করের (Lashkar-E-Taiba)। নিজেদের আর্থিক উন্নতির সঙ্গে সঙ্গেই ভারতের মাটিতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালাতে আফগান মাদক আমদানি করেছিল তারা। এই মাদক বিক্রি করে বিপুল অর্থ পাওয়া যাবে, সেই অর্থ ব্যবহার করেই হামলার জন্য তৈরি হওয়ার পরিকল্পনা ছিল লস্করের।”
[আরও পড়ুন: ‘গোমাংস খাওয়া নিয়ে যস্মিন দেশে যদাচার বিজেপির’, মাওরি-হোসাবলের মন্তব্যে কটাক্ষ উদ্ধবের]
পাকিস্তান, আফগানিস্তানের একাধিক ব্যক্তির নাম রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার চার্জশিটে। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ ছাড়াও ইডির অধীনে মাদক পাচারের মামলাও চলছে একাধিক ব্যক্তির নামে। কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও এখনও অনেকেই পলাতক। তবে মূল চক্রী কবীর তলওয়ারকে গত বছরের আগস্ট মাসে গ্রেপ্তার করা হয়।
একাধিকবার মুন্দ্রা বন্দর থেকে মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। ২০২১ সালের এই ঘটনায় তিন টন মাদক উদ্ধার হয়। তারপরেও গত বছর জুলাই মাসে ফের মাদক পাওয়া যায় গুজরাটের এই বন্দর থেকে। ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্যিক বন্দর থেকে ৩৫০ কোটি টাকার মাদক বাজেয়াপ্ত করেছিল এটিএস। মে মাসেও উদ্ধার হয় ৫২ কেজি মাদক। এহেন ঘটনার সঙ্গে এনআইএ রিপোর্ট- দুই ক্ষেত্র থেকেই পরিষ্কার, গুরুত্বপূর্ণ বন্দর থেকেই দেশে নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা করছে জঙ্গি সংগঠনগুলি। তা সত্বেও কেন আটকানো যাচ্ছে না মাদক পাচার, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।
[আরও পড়ুন: বিরোধী সাংসদের আচরণে ক্ষুব্ধ ধনকড়, ১২ জনের বিরুদ্ধে সংসদীয় তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ]