রাজা দাস, বালুরঘাট: মোবাইলের যুগে বই পড়ার অভ্যাস হারিয়েছেন অনেকে। অথচ সেই অভ্যাসই কাটাতে পারে মানসিক অবসাদ। তাই বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে চলছে গ্রন্থাগার তৈরির কাজ। রবীন্দ্রনাথ থেকে শরৎচন্দ্র, আবার শেক্সপিয়র থেকে ওয়ার্ডসওয়ার্থ-সকলের বই রয়েছে লাইব্রেরিতে। বই পড়তে পারবেন হাসপাতাল কর্মী থেকে রোগীর পরিজন সকলেই।
বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের পুরনো সুপারের অফিসেই এই লাইব্রেরি গড়ে তোলা হচ্ছে। বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে বহু রোগীর আত্মীয় পরিজনরা আসেন। রোগীদের জন্য দীর্ঘক্ষণ হাসপাতাল চত্বরেই বসে থাকতে হয়। তাই সময় কাটাতে এবার লাইব্রেরিতে যেতে পারবেন তাঁরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মনে করছে, তাতে রোগীর পরিজনদের মানসিক অবসাদ কাটবে। লাইব্রেরির সুবিধা শুধু রোগীর আত্মীয়দের জন্য নয়। স্বাস্থ্যকর্মীরাও লাইব্রেরি ব্যবহার করতে পারবেন। চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরাও প্রয়োজনে বই পড়তে ও সংগ্রহ করতে পারবেন।
[আরও পড়ুন: আমাকে সবাই মেয়েলি বলত, তারপর শাহরুখ এল জীবনে: করণ জোহর]
বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ বলেন, “এখন মোবাইলের যুগ। তাই বই পড়ার আগ্রহ কমছে। কিন্তু বই পড়লে মানুষের অবসাদ কাটে। তাই হাসপাতালে আসা রোগীদের আত্মীয়-পরিজনদের মানসিক অবসাদ কাটাতে আমরা লাইব্রেরি খুলছি। আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরাও অনেক সময় অবসাদে ভোগেন। তাঁদেরও বইমুখী করবার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি খুব তাড়াতাড়ি এই লাইব্রেরি খুলে দেওয়ার।”
এবিষয়ে বালুরঘাট কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক রিপন সরকার বলেন, “ওষুধের পরেই বইয়ের স্থান৷ হাসপাতালে রোগ সারাতে যেমন ওষুধের প্রয়োজন। তেমনই মানসিক অবসাদ কাটাতে বই খুবই প্রয়োজন। এটা খুবই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। রোগীর পরিজন বা স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য শুধু নয়। এই বই রোগীদের কাছেও যাতে পৌঁছনো যায়, সেই ব্যবস্থা করলে আরও ভাল হবে।”
দেখুন ভিডিও: