নব্যেন্দু হাজরা: এবার বাজি বিক্রির লাইসেন্স পেতে একাধিক দপ্তর থেকে ছাড়পত্র আনার দিন শেষ। এবার এক জানালা পদ্ধতিতে দেওয়া হবে বাজি বাজারে বাজি বিক্রির লাইসেন্স। কালীপুজোর আগে রাজ্যজুড়ে প্রায় দেড়শোটা আতসবাজি মেলা হবে। আর সেখানে দোকান দেওয়ার জন্য লাইসেন্স নিতে হবে জেলাশাসকের অফিস থেকে।
শুক্রবার নবান্নে রাজ্যের মুখ্যসচিব এইচকে দ্বিবেদী সমস্ত জেলাশাসকদের সঙ্গে একটি ভিডিও কনফারেন্স করেন। তাতে ছিলেন আতসবাজি সংগঠনের নেতারাও। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান সারা বাংলা আতসবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায়। রাজ্যজুড়ে প্রায় দেড়শোটা বাজি মেলা হবে বিভিন্ন জেলায়। সেখানেই দোকান দিতে বাজি ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স দিতে হবে।
[আরও পড়ুন: স্কুলের পাশেই বজ্রপাত, আতঙ্কে অসুস্থ কমপক্ষে ১৩ পড়ুয়া]
এতদিন এই লাইসেন্সের জন্য দমকল, পুরসভা, পুলিশ-সহ একাধিক দপ্তরের থেকে ছাড়পত্র নিতে হত। কিন্তু এই বছর থেকে শুধু জেলাশাসকের কাছে আবেদন করলে সেখান থেকেই মিলবে বাজি বিক্রির লাইসেন্স। তবে সব সরকারি নিয়ম মেনেই দিতে হবে দোকান। শুধু সবুজ বাজিই বিক্রি করা যাবে সেখানে। অনলাইনে এই আবেদন করা যাবে।
জানা গিয়েছে, একমাসের জন্য এই লাইসেন্স দেওয়া হবে। তবে ব্যবসায়ীদের এখন অস্থায়ী লাইসেন্স দেওয়া হলেও ভবিষ্যতে স্থায়ী লাইসেন্সের জন্যও তাঁরা আবেদন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সংগঠনের চেয়ারম্যান বাবলা রায়। নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম সেক্ষেত্রে মানতে হবে। সেই আবেদন অনলাইন এবং অফলাইন দুভাবেই করা যাবে। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে আমরা খুশি। এবার এক জানালা পদ্ধতিতেই বাজি বিক্রির লাইসেন্স পাওয়া যাবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। রাজ্যজুড়ে এই মেলা শুরু হবে পুজোর পরই।’’