স্টাফ রিপোর্টার: স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলিকে কড়া বার্তা দিল রাজ্য প্রশাসন। সাফ জানিয়ে দিল, স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডে রোগী ফেরালে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল বা নার্সিংহোমের লাইসেন্স বাতিল হতে পারে। ছাড় পাবে না কর্পোরেট হাসপাতালও। স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে মঙ্গলবার এমনই বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে।
রাজ্যের সব বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডে রোগী পরিষেবা চালু করতে গত ক’মাস ধরে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর। রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোম সংগঠনগুলির সঙ্গে অন্তত দু’দফায় আলোচনা করেছেন। বস্তুত, কর্পোরেট ও বড় নার্সিংহোমের দাবি মেনেই রোগী পরিষেবার প্যাকেজ রেট অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে। তবে ঘটনা হল, স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডে নাম নথিভুক্ত করলেও কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের রোগী পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন বহাল।
[আরও পড়ুন: দিনভর ইঁদুর দৌড়ের পরও হল না শেষরক্ষা, পুলিশের জালে বিজেপি নেতা রাকেশ সিং]
দপ্তরের খবর, মূ্লত এই সমস্যার স্থায়ী সুরাহা করতেই এবার রোগী-স্বার্থে এমন পদক্ষেপ। স্বাস্থ্য দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট আইনের ৩ এবং ৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী প্রয়োজনে বিধিভঙ্গকারী চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হতে পারে, অথবা লাইসেন্স পূর্ননবীকরণ আটকে যেতে পারে। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা. অজয় চক্রবর্তীর কথায়, “বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের সঙ্গে আলোচনার পর অনেকটাই অগ্রগতি হয়েছে। অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোম স্বাস্থ্যসাথীর তালিকাভুক্ত হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে রাজ্যের সব বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোম এই কর্মসূচির আওতায় আসবে।”
স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য বলছে, রাজ্যের প্রায় ১,৬০০ বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের অন্তত ৯০ শতাংশ গত দু’সপ্তাহে তালিকাভুক্ত হয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের নির্দেশ মেনে তৈরি হয়েছে ‘স্বাস্থ্যসাথী হেল্পডেস্ক।’ রোগীরা সরাসরি এই হেল্পডেস্ক থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য পাবেন। স্বাস্থ্য দপ্তরের বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে বেসরকারি হাসপাতাল সংগঠনের তরফে রূপক বড়ুয়া জানান, “স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করতে রাজ্য সরকার অনেকদিন ধরে চেষ্টা করছে। নতুন নয়। তবে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালগুলিকে জটিল রোগীর চিকিৎসার জন্য চিহ্নিত করলে সুবিধা হয়। সুবিধা হবে রোগীদের।