সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যৌনশিক্ষায় (Sex Education) পরিপূর্ণতা আনতে পর্নোগ্রাফিতেও এর অংশ করা উচিত! হ্যাঁ, এমনই দাবি করেছেন এক মার্কিন পর্নতারকা। একটা নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত যেখানে পড়ুয়ারা লুকিয়ে-চুরিয়ে নীল ছবির (Pornography) নেশায় ডুব দিলেও বকুনি জোটে, সেখানে নাকি পড়াশোনার মধ্যেই এই বিষয়টিকে ঢোকানোর পক্ষে সওয়াল করছেন পর্নস্টার অ্যালিক্স লিংক্স। কিন্তু কেন এমন দাবি তাঁর?
জানা গিয়েছে, নীল ছবির ওই মার্কিন তারকা নাকি ইতিমধ্যেই যৌনশিক্ষা বিষয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে এ নিয়ে কথাও বলেছেন। যৌনশিক্ষার ক্লাসে পর্নোগ্রাফি নিয়ে আলোচনার পরামর্শও দিয়েছেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, অল্প বয়সে পর্নে আসক্তি হলে লেখাপড়ায় মনোযোগ কমে যায়। সেদিকেই মন পড়ে থাকে প্রতিনিয়ত। কিন্তু পর্নতারকা একেবারেই তেমনটা মনে করছেন না। বরং যৌনশিক্ষায় পর্নোগ্রাফি যোগ করা কেন প্রযোজন, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: বুদ্ধিমানরা সহজে প্রেমে পড়েন না, কোন যুক্তিতে একথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা?]
তাঁর কথায়, “প্রায় এক যুগ আমি পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছি। আর এই সময় অনেক অভিভাবক ও শিক্ষকদের সঙ্গে আমার বচসা হয়েছে। তাদের যুক্তি পড়ুয়াদের জন্য পর্ন আসক্তি ভয়ংকর। এতে নাকি ছেলেদের মধ্যে ধর্ষণের প্রবণতা বাড়ে। যৌনতা নিয়ে বাচ্চাদের মধ্যে ভুল ধারণা তৈরি করে পর্ন। এমন খুনের নেপথ্যেও ভিলেন হতে পারে এই পর্নোগ্রাফি। কিন্তু ভেবে দেখুন, এভাবে কি তরুণ-তরুণীদের পর্ন দেখা থেকে আটকানো সম্ভব? আমিও আমার ছোটবেলায় গার্লফ্রেন্ডকে সঙ্গে নিয়ে নীল ছবি দেখতাম। যৌনতা নিয়ে নানা কৌতূহল থেকেই পর্ন দেখার ইচ্ছাটা জাগে।”
অ্যালিক্স স্পষ্টতই বলছেন, তিনি চান না নাবালক-নাবালিকারা পর্ন দেখুক। কিন্তু ১৮ বছরের ঊর্ধ্বদের যৌনতার ভিডিও দেখা থেকে বাধা না দিয়ে বরং তাদের পর্ন ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে অবগত করা হোক। এ নিয়ে বাচ্চাদের মনে যে সমস্ত ভুল ধারণা কিংবা অদ্ভুত চিন্তাভাবনা রয়েছে, তা দূর করা হোক। গোড়াতেই অভিভাবক ও শিক্ষকরা এই দায়িত্ব নিলে আর পাঁচটা বিষয়ের মতোই পর্নকেও সাধারণ ভাবেই নিতে শিখবে পড়ুয়ারা। তাঁর পরামর্শ এবার শিক্ষকরা কতটা গ্রহণ করেন, সেটাই লাখ টাকার সওয়াল।