সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে ঘরে-ঘরে। তার মধ্যে সেই আতঙ্ক আরও বাড়িয়েছে আরটিপিসিআর পরীক্ষা নিয়ে ছড়িয়ে পড়া একাধিক তথ্য। বলা হচ্ছে, এই পরীক্ষায় অনেক সময় সঠিক ফল পাওয়া যাচ্ছে না। আর তাই করোনা আক্রান্ত কি না জানতে হিড়িক পড়ছে সিটি স্ক্যানের। কোভিড-১৯’র সামান্য উপসর্গ দেখা দিলেই সিটি স্ক্যান করাতে ছুটছেন অনেকে। কিন্ত এই সিটি স্ক্যান (CT Scan) করানো কি খুব জরুরি? এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই তো, কী বলছেন চিকিৎসকরা?
সোমবার এক সাংবাদিক বৈঠকে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স (এইমস)-এর ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া এই সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিলেন। জানালেন, করোনার মৃদু উপসর্গ থাকলেই সিটি স্ক্যান করানোর প্রয়োজন নেই। বরং চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে তবেই এই পরীক্ষা করানো উচিৎ।
[আরও পড়ুন: ভোটের পরও ঠান্ডা হল না শীতলকুচি, ফের গুলিতে প্রাণ হারালেন বিজেপি সমর্থক]
এইমসের ডিরেক্টরের কথায়, খুব প্রয়োজন হয় তবে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে এক্স-রে করিয়ে নিন। এতে ক্ষতি অনেক কম হবে। কারণ একবার সিটি স্ক্যান করালে ৩০০ থেকে ৪০০ বার বুকের এক্স-রে করানোর সমান ক্ষতি হয়। এবং পরে যা ক্যানসারের দিকে যেতে পারে। আর এই ক্ষতি কম বয়সীদের ক্ষেত্রে বেশি হয়। তাই সিটি স্ক্যানের প্রয়োজন নেই, দরকারে এক্স-রে করিয়ে নিন। তবে সবই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই করাতে হবে।
এইমসের (AIIMS) ডিরেক্টর আরও বলেন, করোনার প্রাথমিক স্তরে অনেকে উচ্চমাত্রায় স্টেরয়েড নিয়ে নেন। সে ক্ষেত্রে, উপকার থেকে ক্ষতিই বেশি হয়েছে। বেশি স্টেরয়েড নিলে নিউমোনিয়া পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। যা ফুসফুসে প্রচণ্ড ক্ষতি করবে। তাই অল্প উপসর্গে সাধারণ ওষুধ খেলেই করোনা সেরে যাবে। সেক্ষেত্রে উচ্চমাত্রায় স্টেরয়েড নেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। পরিস্থিতি যদি খারাপ হয় সংক্রমণ যদি খুব বেশি মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ে তখন রোগীকে সুস্থ্য করে তুলতে স্টেরয়েড ব্যবহার করা হয়।