সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চতুর্দিক অন্ধকার। অ্যাপার্টমেন্টের প্রতিটি ফ্ল্যাটেরই জানলা মোটের উপর বন্ধ। শুধু খোলা একটিই। সেই ফ্ল্যাটেই আবার বাস নবদম্পতির। ঘরের ভিতর থেকে ভেদ করে বাইরে বেরচ্ছে মৃদু আলো। আর সেই আলোয় দেখা যাচ্ছে নবদম্পতির ছায়া। এই পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু ওই দম্পতি খোলা জানলার সামনে দাঁড়িয়ে যা করলেন, তাতে চক্ষু চড়কগাছ প্রতিবেশীর।
বিষয়টা খোলসা করা যাক। ঘটনাটি গত ৭ মার্চের। ঘড়ির কাঁটায় প্রায় সাড়ে দশটা হবে। খোলা জানলার সামনে দাঁড়ানো নবদম্পতির গায়ে একটি সুতোও নেই। উদ্দাম যৌনতায় মেতে উঠেছেন তাঁরা। প্রতিবেশীর দাবি, তা দৃশ্যদূষণ তো বটেই। আবার তার উপর শিৎকার। সব মিলিয়ে এই পরিস্থিতিতে ঘুম উড়েছে প্রতিবেশীর। রাতের ঘুম নষ্টের পাশাপাশি বিরক্তিও বেড়েছে তাঁর।
[আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে লড়বেন মহম্মদ সেলিম, দেখে নিন সিপিএমের দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা]
বেঙ্গালুরুর গিরিনগর থানা এলাকার ওই বাসিন্দার দাবি, ঘরের দরজা খুলতে গিয়ে নবদম্পতির এহেন কাণ্ড নজরে পড়ে তাঁর। যা অত্যন্ত অস্বস্তিকর বলেই দাবি। প্রতিবেশীর দাবি ঘনিষ্ঠ মুহূর্তেই ওই নবদম্পতিকে ডাকেন তিনি। জানলা, দরজা বন্ধ করে ঘরের ভিতর রতিক্রিয়ায় মাতার পরামর্শও দেন। তবে প্রতিবেশীর দাবি, নবদম্পতি সে কথায় কান দেননি। পরিবর্তে প্রতিবেশীর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। প্রাণনাশের হুমকিও নাকি দেওয়া হয়।
তাতেই রেগে যান প্রতিবেশী। বলেন, “রতিক্রিয়ায় মাততেই পারেন নবদম্পতি। তা বলে খোলা জানলার সামনে দাঁড়িয়ে তাঁদের এই আচরণ কখনই সমর্থনযোগ্য নয়। একে তো জানলার দিকে নজর গেলে দেখা যাবে সব কিছুই। আবার তার উপর তাঁদের শিৎকার। যাতে কান পাতা দায়।” বাধ্য হয়ে এই ঘটনার পরদিনই পুলিশের দ্বারস্থ হন প্রতিবেশী। স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও নবদম্পতির বাড়ি মালিক এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তাঁর দাবি, ওই প্রতিবেশীর অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।