সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: মাঝখানে পুতুল। আর তার পাশে পাঁচটা, আটটা কিংবা ১৪ টা প্রদীপ। দীপাবলির বাজারে এই নিপুণ শিল্পকর্ম চোখ টানছে পুরুলিয়া শহরে। কালীপুজোয় বা দীপাবলীর রাতে ‘দিওয়ালি ঘর’ সাজাতেই মূলত এই প্রদীপ ব্যবহার হয়। তবে ভূত চতুর্দশীতে তুলসি তলায় যে ১৪ প্রদীপ দেখানো হয় সেই ঐতিহ্য বজায় রাখতেও এই পুতুল প্রদীপ কিনছে এই শহর। ৭০ টাকা থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এই প্রদীপ। সেই সঙ্গে ‘দিওয়ালি ঘর’ সাজানোর জন্য খেলনা কিনতেও ভিড় দেখা যাচ্ছে এই শহরে।
এই প্রদীপ যে এবারই প্রথম দীপাবলির বাজারে এল তা নয়। তবে এবার এই পুতুল প্রদীপ যেন আলাদাভাবেই নজর কাড়ছে। আসলে শিল্পীর শিল্পকর্মে এই প্রদীপ দেখলেই চোখ টানছে। শহর পুরুলিয়ার কাটিন পাড়ার শিল্পী ভাগবত কুম্ভকার বলেন, “এবার পাকা রং এনে পুতুল প্রদীপ তৈরি করা হয়েছে। কুমোরটুলি, উল্টোডাঙা থেকে ওই রং এনেছি। এক একটি প্রদীপ বানাতে ৪০ টাকা খরচ হচ্ছে। মাঘ মাস থেকে এই প্রদীপ বানানোর কাজ আমরা শুরু করেছি।”
[আরও পড়ুন: ষাটোর্ধ্বর সঙ্গে উনিশের তরুণীর ‘পরকীয়া’! পরিবারের অমতে এ কী করল যুগল?]
আর এই কাজে সহায়তা করছে তার পরিবার। এমনকি বিক্রিবাটাতেও। পুরুলিয়ার হাটের মোড়ে তার দুই ছেলে নবম শ্রেণিতে পড়া শ্যামল ও সপ্তম শ্রেণির ছাত্র বিমল সকাল থেকে একেবারে রাত পর্যন্ত এই প্রদীপ বিক্রিতে হাত লাগিয়েছে। ‘দিওয়ালি ঘর’ সাজাতে এই স্পেশাল প্রদীপ শহরের অন্যান্য শিল্পীরাও বানিয়েছেন। ওই কাটিন পাড়ার লক্ষ্মী কুম্ভকার, দুর্গামণি কুম্ভকার বলেন, “এবারই এই প্রথম পুতুল প্রদীপ বানালাম। বিক্রি বেশ ভালই হচ্ছে। সঙ্গে ‘দিওয়ালি ঘরে’র খেলনাও।” এই খেলনায় কি না থাকে রান্নার নানা সরঞ্জাম-সহ উনুনও। আরও কত কী!