সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পবিত্র তুলসী। তার একাধিক ব্যবহার! পূজা-অর্চনায় আবশ্যক, আবার শরীরের নানা রোগ নিরাময় করতে পারে। বিশেষ করে এই শীতের সময়। যাঁদের ঠান্ডা লাগার ধাত, তাঁদের ক্ষেত্রে তুলসী রামবাণের মতো কাজ করে। এদেশের বেশিরভাগ বাড়িতেই তুলসীর অবস্থান। কিন্তু শীতের শুষ্ক আবহাওয়া তুলসী গাছে আনে রুক্ষতা। তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায় পাতা-কাণ্ড। তরতাজা রাখবেন কীভাবে? রইল উপায়।
ছবি: সংগৃহীত
তুলসী গাছের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে ঠান্ডা এবং শুষ্ক হাওয়া। এই হাওয়া থেকে গাছকে বাঁচানো দরকার। কীভাবে? চারপাশে শিল্ড তৈরি করে দিয়ে। গাছের চারপাশটা স্বচ্ছ প্লাস্টিক বা সুতির কাপড় দিয়ে ঢেকে দিতে পারেন। এতে সরাসরি হাওয়া লাগবে না।
তুলসী গাছে জল কতটা দেবেন তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত জল যেমন ভালো নয়, তেমনই কম জলে গাছ শুকিয়ে যেতে পারে। গাছে জল দেওয়ার আগে মাটি চেপে উপরের ২ ইঞ্চি ভেজা কি না। যদি সেখানে শুষ্কতা থাকে তবেই জল দেবেন।
শীতকালে ঈষদুষ্ণ জল তুলসী গাছের জন্য খুবই ভালো। তবে এক্ষেত্রে সাবধান। জল খুবই অল্প গরম হতে হবে। আবার অনেকে বলেন, গাছের গোড়ার সামান্য একটু কাঁচা দুধ দেওয়া ভালো।
ছবি: সংগৃহীত
তুলসী গাছের সূর্যের আলোর প্রয়োজন। বাড়ির গাছ টবে থাকলে তা এমন জায়গায় রাখবেন যেন চার থেকে ছয় ঘণ্টা সূর্যের আলো পায়। তবে অতিরিক্ত তাপ থেকে বাঁচাতে গাছের উপরে একটি শেড করে দিতে পারেন।
তুলসী গাছ পরিষ্কার রাখতে হবে। কীভাবে? হলদে হয়ে যাওয়া এবং পোকা ধরা পাতাগুলো ছেঁটে ফেলতে হবে। তবে মনে রাখবেন অতিরিক্ত পাতা ছাঁটা ভালো নয়।
সময়ে সময়ে মাটি পরিবর্তন করাও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তুলসী গাছ টবে থাকুক বা বেদীর ভিতরে মাটির উর্বরতা একসময় কমে যায়। তাই সময় থাকতে গাছের গোড়ার মাটি বদলে দেওয়া দরকার।