সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টেকনোলজির যুগে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার৷ বিদেশ যাত্রাকে আরও সহজ করতে এবার চালু হতে চলেছে ই-পাসপোর্ট (E-passport)। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (S Jaishankar) জানিয়ে দিলেন, এ বছরের শেষেই এই নয়া পাসপোর্টের সুবিধা পেতে চলেছেন যাত্রীরা।
জয়শংকর জানাচ্ছেন, ”২৪ জুন আমরা পালন করেছি পাসপোর্ট সেবা দিবস। এবার আমরা নাগরিকদের পরবর্তী স্তরের পরিষেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।” ঠিক কী এই ই-পাসপোর্ট? পাসপোর্টের হার্ডকপির মতো একই রকম বৈধতা রয়েছে ই-পাসপোর্টের। এই পাসপোর্টগুলির ভিতরে একটি চিপ লাগানো থাকে। অনেকটাই গাড়ির চালকদের লাইসেন্সের মতো।
[আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কোন পক্ষে? কেজরিওয়াল এবং চন্দ্রবাবু নায়ডুর নীরবতায় প্রশ্ন]
ওই ‘রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন’ তথা RFID চিপের মধ্যেই ধরা থাকে পাসপোর্টের মালিকের নাম, জন্মের তারিখ, ঠিকানা-সহ সমস্ত জরুরি তথ্য। ফলে বৈদ্যুতিন মাধ্যমেই তথ্য যাচাইয়ের সুবিধা নিতে পারবেন নাগরিকরা৷ অপেক্ষাকৃত অনেক দ্রুতই এর সাহায্য়ে তথ্য যাচাই সম্ভব বলে মনে করা হচ্ছে। পাসপোর্ট জালিয়াতি ও পাসপোর্টের তথ্য চুরি রুখতেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
টেক জায়ান্ট TCS এই ই-পাসপোর্ট নিয়ে কাজ করার দায়িত্ব পেয়েছে। সূত্রের দাবি, শিগগিরি বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে মিলে একটি কন্ট্রোল সেন্টার চালুও করতে চলেছে ওই সংস্থা। তৈরি হবে একটি নতুন ডেটা সেন্টার। যেগুলির মাধ্যমেই পরিষেবা দেওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: সামান্য ধাক্কাতেই ধসে গেল নির্মীয়মাণ কলেজের দেওয়াল! যোগীরাজ্যে বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ]
উল্লেখ্য়, ই-পাসপোর্ট আমাদের দেশে এতদিন চালু না হলেও ইতিমধ্যেই এটি একশোর বেশি দেশে চালু হয়ে গিয়েছে। ভারতেও কয়েক বছর ধরে ই-পাসপোর্ট চালু করার কথা শোনা গিয়েছে। মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পরই ২০১৬ সালেই শোনা গিয়েছিল, শিগগিরি এই নতুন প্রযুক্তির পাসপোর্ট চালু করবে কেন্দ্র। কিন্তু পরে তা স্থগিত হয়ে যায়। অবশেষে ২০২২ সালের শেষদিকেই ই-পাসপোর্ট চালু হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দিলেন বিদেশমন্ত্রী।