সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সকালে উঠে যে জিনিসগুলির সবেচেয়ে বেশি প্রয়োজন পড়ে, তার মধ্যে অন্যতম টুথপেস্ট (Toothpaste)। তার কল্যাণেই মহা মূল্যবান দাঁতগুলি সুস্থ থাকে। বাজারে হরেক রকমের টুথপেস্ট পেয়েই যাবেন। তবে কোনটি আপনার দাঁতের (Teeth) পক্ষে ভাল তা কীভাবে বুঝবেন? কয়েকটি বিষয়ে খেয়াল রাখতে পারেন।
১) সময়ের আগে মাড়ির রোগ রুখতে চান? তাহলে অ্যান্টি ব্যাক্টিরিয়াল টুথপেস্ট কিনতে পারেন। এতে জিনজিভাইটিস বা মাড়ির রোগ প্রতিরোধ করা যায়। বাজারে গাম কেয়ার কিংবা অ্যান্টি-জিনজিভাইটিস দেওয়া টুথপেস্ট দেখে কিনবেন।
২) অনেকের দাঁতে দাগ-ছোপের সমস্যা থাকে। বিশেষ করে যাঁরা ধূমপান করেন বা যাঁদের পান খাওয়ার সমস্যা থাকে, তাঁদের বেকিং সোডা দেওয়া টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। বেকিং সোডায় দাঁতের দাগ দূর হয়ে যায়। যদি টুথপেস্টের প্যাকেটে বেকিং সোডার পরিমাণ দেওয়া থাকে তাহলে খুবই ভাল।
[আরও পড়ুন: Basin জল থইথই? জেনে নিন কম সময়ে পরিষ্কারের উপায়]
৩) অনেকের দাঁত সংবেদনশীল। গরম চা-কফি কিংবা ঠান্ডা আইসক্রিম খেলেই দাঁত ঝনঝন করে ওঠে। এমন মানুষদের জন্য বিশেষ টুথপেস্ট রয়েছে। পটাশিয়াম নাইট্রেট বা স্ট্রোনিয়াম ক্লোরাইড দেওয়া টুথপেস্ট ব্যবহার করা ভাল। তা দাঁতের সংবেদনশীলতা কমায়। অবশ্য তাতে কিছুটা সময় লাগে।
৪) অনেকে ফেনাযুক্ত টুথপেস্ট পছন্দ করেন। তাঁরা সোডিয়াম লরেল সালফেট যুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। এতে প্রচুর ফেনা হয়।
৫) জিঙ্ক সাইট্রেট, ট্রাইক্লোসান এবং ফাইরোফসফেট যুক্ত পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। এতে দাঁতের ওপরের ব্যাকটেরিয়ার আবরণ ধ্বংস হয়। পাশাপাশি ছাতা পড়ার প্রবণতাও কমায়।
৬) প্রাকৃতিক উপাদানের কোনও বিকল্প নেই। তাতে কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও থাকে না। হারবাল টুথপেস্ট খুঁজে পেতে বেশি বেগ পেতে হবে না।
৭) অনেকে মুখের ফ্রেশনেস ও সুগন্ধের উপর জোর দিয়ে থাকেন। এমন ক্ষেত্রে মিন্টযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করতে পারেন।