সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মোবাইল প্রস্তুত হয় চিনে (China)। দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে ভারতের (India) নাম। এবার এই ক্ষেত্রেই বেজিংকে টপকে এক নম্বরে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করল নয়াদিল্লি। খুব শীগগিরি বিশ্বে মোবাইল প্রস্তুতকারক দেশ হিসেবে এক নম্বরে উঠে আসবে ভারত। সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও করা হবে। সোমবার এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী (Telecom and IT minister) রবিশংকর প্রসাদ (Ravi Shankar Prasad)।
মূলত পিএলআই স্কিমের মাধ্যমে আরও বিদেশি সংস্থা যাতে ভারতে বিনিয়োগ করে, সেদিকেই লক্ষ্য কেন্দ্রের। তিনি পরিষ্কার জানান, পিএলআই বা Production Linked Incentive স্কিমকে অন্যান্য সেক্টরেও নিয়ে আসা হবে। যাতে ভারতকে পুরোপুরি ইলেকট্রনিক হাব হিসেবে তৈরি করা যায়।
[আরও পড়ুন: এবার স্মার্টফোনের ক্যামেরাই বলে দেবে আপনি করোনা পজিটিভ কি না, তাও মাত্র ৩০ মিনিটে!]
FICCI–এর বার্ষিক সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রবিশংকর প্রসাদ বলেন, ‘‘আমরা ভারতকে মোবাইল উৎপাদনে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। সেটা করতে পেরেছি। এবার আমরা চিনকে টপকাতে চাই। এটাই আমাদের উদ্দেশ্য আর আমি সেটাই আপনাদের জানাচ্ছি।’’ এর আগে ২০১৭ সালেই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল উৎপাদনকারী দেশ বনে গিয়েছিল ভারত। ২০১৯ সালে এনপিই (National Policy on Electronics) অনুযায়ী, ২০২৬ সাল নাগাদ ইলেকট্রনিক দ্রব্য উৎপাদন থেকে ২৬ লক্ষ কোটি টাকা আয় হতে পারে দেশের। যার মধ্যে থেকে ১৩ লক্ষ কোটি টাকা আসবে স্রেফ মোবাইল উৎপাদন থেকেই।
বর্তমানে বিশ্বে মোবাইল প্রস্তুতকারক দেশ হিসেবে এক নম্বরে রয়েছে চিন। রিয়েলমি থেকে শুরু করে রেডমি, হুয়েই–সহ বেশিরভাগ বিখ্যাত মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থাও সেদেশেরই। ইলেকট্রনিক্স দ্রব্যের ক্ষেত্রেও একচেটিয়া ব্যবসা চিনের। তবে লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনার পর থেকেই ‘আত্মনির্ভর ভারত’ তৈরিতে আরও সোচ্চার হয়েছে কেন্দ্র। চিনকে ভাতে মারতে ২০০রও বেশি চিনা অ্যাপকে ইতিমধ্যে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এবার মোবাইল উৎপাদনের ক্ষেত্রেও বেজিংকে পিছনে ফেলে দিতে তাই সচেষ্ট নয়াদিল্লি।