সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আতঙ্কে কাঁটা গোটা বিশ্ব। তার মাঝে ব্ল্যাক, হোয়াইট, ইয়েলো, গ্রিন ফাঙ্গাসের ধাক্কায় জেরবার প্রায় সকলে। আর এবার আতঙ্কের তালিকায় জুড়ল নয়া নাম। রেক্টাল ব্লিডিং (Rectal Bleeding)। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে পাঁচজন করোনা রোগীর শরীরে রেক্টাল ব্লিডিং ভাইরাসের খোঁজ মিলেছে। তার মধ্যে একজনের প্রাণহানিও হয়েছে। নয়া এই ভাইরাস সম্পর্কে জেনে নিন বিস্তারিত তথ্য।
রেক্টাল ব্লিডিং সাইটোমেগ্যালোভাইরাস (Cytomegalovirus) বা সিএমভি নামেও পরিচিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ ভারতীয়র শরীরে ‘ঘুমন্ত’ অবস্থায় ভাইরাসটি থাকে। উপসর্গও বিশেষ দেখা যায় না। তবে কোভিডের ধাক্কার মাঝে কার্যত প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে ভাইরাসটি। দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে ভরতি থাকা পাঁচ কোভিড রোগীর ক্ষেত্রেও একই কাণ্ড ঘটেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: পছন্দের খাবার খেয়েও রোগা হতে চান? উপায় বাতলে দিলেন অভিজ্ঞ ডায়টিশিয়ান]
উপসর্গ:
- মলের সঙ্গে রক্তপাত
- তলপেটে ব্যথা
- ক্লান্তি
- গ্ল্যান্ড ফোলা
- জ্বর
- মাংসপেশীতে ব্যথা
- মাথা যন্ত্রণা
- শ্বাসকষ্ট
- শুকনো কাশি
কীভাবে ছড়ায়:
- রক্ত
- লালা
- মূত্র
- বীর্য
- রেক্টাল ব্লিডিংয়ে আক্রান্ত মায়ের দুধ থেকেও এই ভাইরাস ছড়াতে পারে।
কারা বেশি আক্রান্ত হতে পারেন?
- যারা সদ্য করোনা থেকে সেরে উঠেছেন, তাঁরা এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। কারণ, করোনাজয়ীদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তলানিতে চলে যায়। তাই তাঁদের সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে সবচেয়ে বেশি।
- অসুস্থ সদ্যোজাতরাও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
তাই চিকিৎসকদের মতে, কোভিড (Covid-19) সেরে যাওয়ার পর তলপেটে ব্যথা কিংবা মলের সঙ্গে রক্তপাতের মতো উপসর্গ দেখা দিলেই সাবধান হোন। তড়িঘড়ি চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। এই ভাইরাস শরীরে থাবা বসানোর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসার প্রয়োজন। নইলে ভাইরাস অতি বিপজ্জনক রূপ নিতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী করোনাজয়ীরা শরীরে ফের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ফিরিয়ে আনার জন্য বেশি করে পুষ্টিকর খাবার খান। নিয়মিত চিকিৎসকের কথা মেনে চলুন।