সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জীবনের গতি বেড়েছে৷ এতটাই যে তাল সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ৷ ‘বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচ্যগ্র মেদিনী’। অতএব, লড়াইয়ের ময়দানে এগিয়ে যেতে হবে৷ আরও আগে, সবার আগে৷ কিন্তু মানুষের এই ইঁদুর দৌঁড়ে পিছিয়ে পড়ছে জীবন৷ বাঁচার আনন্দটুকুও হারিয়ে যাচ্ছে৷ মনকে গ্রাস করছে হতাশা। এই হতাশা যে কখন খাল কেটে মানসিক অবসাদকে (Depression) ডেকে আনে বোঝা কঠিন। মানসিক অবসাদের এই চক্রব্যূহে যদি আপনি আটকে গিয়ে থাকেন তাহলে কয়েকটি ভুল একদমই করবেন না।
সমস্যা যতই বিরক্তিকর বা বিড়ম্বনার হোক না কেন তা এড়িয়ে যাবেন না। এগুলো ছায়ার মতো হয়, যত দূরে যাবেন তত বড় হতে থাকবে। সামনে দাঁড়ালেই ভ্যানিশ! তাই সমস্যা নিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলুন।
ভালো ঘুম হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাতে ঘুমোনোর সময় মোবাইল দেখবেন না। এতে ঘুম ভালো হয় না। তার বদলে বই পড়ুন কিংবা মন শান্ত করার কোনও মিউজিক শুনুন। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর বেশিক্ষণ বিছানায় থাকবেন না। তাতে আকাশ-কুসুম চিন্তার প্রবনতা বাড়ে।
[আরও পড়ুন: ‘প্যান্ট পরোনি কেন?’, ফিনল্যান্ডের ছবি শেয়ার করতেই কটাক্ষের মুখে সোহিনী]
নিজেকে ঘরবন্দি করে ফেলবেন না। মন খারাপ হলে বাইরে বেরোন। যেখানে ইচ্ছে সেখানে যান। প্রয়োজনে কোনও পার্কে গিয়ে হাঁটতে পারেন কিংবা চায়ের দোকানে গিয়ে চা খেতে পারেন। কিছুক্ষণ পরে হালকা বোধ করবেন।
মন খারাপ করে এমন কোনও খবর, সিনেমা, সিরিয়াল কিংবা ওয়েব সিরিজ দেখবেন না। এতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। বরং এমন কিছু করুন বা দেখুন যাতে মন ভালো হয়।
মানসিক অবসাদে অপরাধবোধ বেশি করে ঘিরে ধরে। এটা হতে দেবেন না। পৃথিবীর সমস্ত কিছুর দায় আপনার নয়। মনে রাখবেন, কেউ পারফেক্ট নয়।
সোশাল মিডিয়ায় রিল দেখে বা ভিডিও গেম খেলে সমস্যাকে ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না। তার চেয়ে বিশেষজ্ঞর কাছে গিয়ে মনের কথা খুলে বলুন। দেখবেন অনেকটা হালকা লাগবে।