সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছ’মাসের আগের ঘটনার পুনরাবৃত্তি। ফের অনলাইনে শয়ে শয়ে মুসলিম মহিলার ছবি অনলাইনে আপলোড করে তাঁদের নিলামে তোলা হল। রীতিমতো পণ্যের মতো মহিলাদের দর হাঁকা হল। যা চূড়ান্ত অবমাননাকর বলেই মনে করছেন মুসলিম মহিলারা (Muslim Women)। এর ঘটনায় রীতিমতো বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে।
‘বুল্লি বাই’ (Bulli Bai) নামের একটি অ্যাপের মাধ্যমে মুসলিম মহিলাদের এভাবেই ‘হেনস্তা’ করার পন্থা নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। জানা গিয়েছে, ওই অ্যাপটিতে শয়ে শয়ে মুসলিম মহিলার ছবি তাঁদের অনুমতি ছাড়াই আপলোড করা হয়েছে। এই ছবিগুলি সংগ্রহ করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে। এবং পণ্যের মতো ওই মহিলাদের দর হাঁকা হয়েছে। নিলামে তুলে তাঁদের বিক্রি করারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অথচ, এসবের বিন্দু বিসর্গও জানতে পারেননি ওই মহিলারা।
[আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে উত্তাল ত্রিপুরায় আজ অভিষেক, রয়েছে একাধিক কর্মসূচি]
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে নেটদুনিয়ায়। আসলে এক মহিলা সাংবাদিকের নাম এবং ছবিও ‘বুল্লি বাই’ নামের ওই অ্যাপটিতে আপলোড করা হয়। ওই মহিলায় কোনওভাবে অ্যাপটি সম্পর্কে জানতে পারেন। তিনিই এই ঘটনার প্রতিবাদে প্রথম সরব হন। এরপর আসরে নামেন শিব সেনা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী (Priyanka Chaturvedi)। এই ঘটনায় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। তাঁর সাফ কথা, এই ধরনের ধর্ম এবং লিঙ্গবৈষম্য মূলক কাজ যারা করেছে, তাদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। শিব সেনা সাংসদ মুম্বই পুলিশ এবং দিল্লি পুলিশকেও এই ঘটনার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেছেন।
[আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণ বাড়লেও এখনই লকডাউন নয়! ইঙ্গিত মিলল মোদির কথায়]
প্রসঙ্গত, মাস ছয়েক আগেও একইভাবে ‘সুল্লি বাই’ নামের একটি অ্যাপে মহিলাদের ছবি আপলোড করা হয়েছিল। যা নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় পড়ে যায় নেটদুনিয়ায়। ছ’মাসের মধ্যে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। অভিযোগ পাওয়ার পর তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক ওই সাইটগুলি ব্লক করে দিয়েছে। যদিও এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।