সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার বসন্ত পঞ্চমীর পুণ্য তিথিতে দাক্ষিণাত্যের মাটিতে বসেছে ‘স্ট্যাচু অফ ইকুয়ালিটি’ (Statue of Equality)। হায়দরাবাদের (Hyderabad) সামশাবাদের দার্শনিক সন্ত রামানুচার্যের পঞ্চধাতুর মূর্তিটির উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মূর্তিটি নিয়ে ইতিমধ্যেই ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। যা দেখে মনে করা হচ্ছে, রাতারাতি নতুন ট্যুরিস্ট স্পট হিসেবে গড়ে উঠেতে চলেছে আধ্যাত্মিক ধর্মগুরু ত্রিদণ্ডী চিন্না জিয়ার স্বামীর মন্দির। ধীরে ধীরে করোনার প্রকোপ কমছে দেশজুড়ে। সময় ও সুযোগ দেখে একবার ঘুরে আসতেই পারেন।
কী দেখবেন
প্রধান আকর্ষণ অবশ্য়ই ‘স্ট্যাচু অফ ইকুয়ালিটি’। এছাড়াও একে ঘিরে গড়ে উঠেছে ১০৮টি কষ্টিপাথরের মন্দির। ‘দিব্য দেশম’ নামের এই মন্দিরগুলি বদ্রিনাথ, বৃন্দাবন, অযোধ্যা প্রভৃতি মন্দিরের আদলে তৈরি।
[আরও পড়ুন: জীবনের প্রথম আয় মোটে ২৫ টাকা, কত টাকার সম্পত্তি রেখে গেলেন লতা মঙ্গেশকর?]
৫৪ ফুট উচ্চতার একটি ভবনের উপরে বসেছে বিশ্বের বৃহত্তম মূর্তিটি। ভবনটির নাম ‘ভদ্রা বেদি’। ওই বাড়িটিতে রয়েছে বৈদিক ডিজিটাল গ্রন্থাগার, থিয়েটার, রামানুচার্যের গ্যালারি। ভবিষ্যতে গড়া হবে ত্রিদণ্ডী চিন্না জিয়ার স্বামীর মূর্তিও।
কীভাবে যাবেন
তিনভাবে কলকাতা থেকে সামশাবাদ যাওয়া যায়। বিমান, ট্রেন ও গাড়ি। ভ্রমণ সংক্রান্ত এক ওয়েবসাইট জানাচ্ছে, বিমানে সামশাবাদে যেতে সব মিলিয়ে ঘণ্টা চারেক সময় লাগতে পারে। খরচ মাথাপিছু হাজার তিনেক থেকে হাজার ছয়েকের মধ্যে। গাড়িতেও যেতে পারেন। দূরত্ব ১ হাজার ৪৫৫ কিলোমিটারের মতো। গাড়ি নিয়ে গেলে সময় লাগতে পারে প্রায় ২১ ঘণ্টা। খরচ ১১ হাজার থেকে ১৬ হাজারের মধ্যে।
[আরও পড়ুন: পঞ্চভূতে লীন লতা মঙ্গেশকর, পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন শেষকৃত্য]
এদিকে ট্রেনপথে দু’ভাবে যাওয়া যায়। ভায়া হায়দরাবাদ। অথবা সরাসরি। প্রথম ক্ষেত্রে সময় স্বাভাবিক ভাবেই বেশি লাগবে। ৩১ ঘণ্টার সামান্য বেশি সময়ে পৌঁছনো যাবে। সরাসরি গেলে বাঁচবে পাঁচ ঘণ্টা। সেক্ষেত্রে মোটামুটি ১৬ ঘণ্টাতেই পৌঁছে যেতে পারবেন সামশাবাদে।
সব দিক খতিয়ে দেখলে বোঝা যাবে খরচ বাঁচাতে চাইলে হায়দরাবাদ হয়ে যাওয়াই ভাল। আর যদি পকেটের রেস্তো নিয়ে কোনও সমস্যা না থাকে তাহলে আকাশপথই ভাল। তবে এই মুহূর্তে কেবল প্ল্যানিংটুকুই করে রাখুন।
করোনা পরিস্থিতিতে ওখানে যাওয়া সমস্য়ার হতে পারে। বরং সামান্য অপেক্ষা করাই ভাল। আর চেষ্টা করবেন গেলে সম্ভব হলে হায়দরাবাদের অন্যান্য পর্যটক স্থলগুলিও ঘুরে দেখার। এর মধ্যে অন্যতম গোলকুণ্ডা দুর্গ, চারমিনার, নেহরু জুওলজিক্যাল পার্ক, মক্কা মসজিদ, হুসেন সাগর ইত্যাদি।